রুক্ষতা থেকে চুলকে বাঁচাবেন যেভাবে
শীতের রুক্ষ বাতাস এবং শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে মাথার ত্বক দ্রুত আর্দ্রতা হারায়। এর ফলে চুলকানি, শুষ্কতা, এবং খুশকির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। ঠান্ডা বাতাস উষ্ণ বাতাসের মতো আর্দ্রতা ধরে রাখতে পারে না। আবার, ঘরের ভেতরের হিটিং সিস্টেম বাতাস থেকে আরও বেশি আর্দ্রতা দূর করে দেয়। এই অতিরিক্ত শুষ্কতা মাথার ত্বকে জ্বালা-পোড়া এবং প্রদাহ সৃষ্টি করে, যা সঠিক পরিচর্যার অভাবে চুল পড়ার কারণও হতে পারে।
মাথার ত্বককে শীতকালে সুস্থ রাখতে এই অভ্যাসগুলো মেনে চলুন।
আর্দ্রতা ও পুষ্টি জোগানোর সহজ উপায়
১. তেল ও সিরাম দিয়ে আর্দ্রতা বজায় রাখুন। শুষ্কতা মোকাবিলা করতে নিয়মিতভাবে ভালো মানের হেয়ার ওয়েল বা হাইড্রেটিং স্ক্যাল্প সিরাম ব্যবহার করুন। এর জন্য আর্গান তেল বা জোজোবা তেলের মতো এসেনশিয়াল ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ তেল বেছে নিন, যা গভীর আর্দ্রতা সরবরাহ করে। ল্যাভেন্ডার বা টি ট্রি-এর মতো এসেনশিয়াল অয়েলের কয়েক ফোঁটা একটি ক্যারিয়ার অয়েলের সঙ্গে মিশিয়ে মাথার ত্বকে আলতো করে ম্যাসাজ করুন। এতে আর্দ্রতা যোগ হবে এবং রক্ত সঞ্চালন বাড়বে।
২. শীতকালে শ্যাম্পুর দিকে মনোযোগ দিন। হালকা শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। নিয়মিত শ্যাম্পুতে থাকা কঠোর সালফেট উপাদান চুলের স্বাভাবিক তেল বা আর্দ্রতা নষ্ট করে দেয়। সালফেটস-মুক্ত এবং হালকা ক্লিনজার বেছে নিন। যা চুলের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা না সরিয়ে আলতোভাবে পরিষ্কার করে। শুষ্ক বা সংবেদনশীল মাথার ত্বকের জন্য তৈরি পণ্য ব্যবহার করুন।
ভেতরের পুষ্টি: সুষম খাদ্য ও পরিপূরক
ট্রপিক্যাল ট্রিটমেন্ট বা বাহ্যিক পরিচর্যা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনই শরীরকে ভেতর থেকে পুষ্টি দেওয়াও জরুরি। একটি সুষম খাদ্যাভ্যাস মাথার ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। স্যামন এবং ফ্ল্যাক্সসিডের মতো ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার পাতে রাখার চেষ্টা করুন। এটি মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালনকে উদ্দীপিত করে এবং প্রদাহ কমায়। ডিম ও বাদাম থেকে বায়োটিন এবং বাদাম ও পালংশাক থেকে ভিটামিন ই পাওয়া যায়। এই খাবারগুলো খান।
- ট্যাগ:
- লাইফ
- রুক্ষ চুল
- মাথার ত্বক