দৌড়ানোর জন্য কিংবা নিয়মিত হাঁটতেও সঠিক জুতা নির্বাচন করা জরুরি। কারণ, জুতার কারণে কখনো ফোসকা, আঙুলে আঘাত বা অস্বস্তি হতে পারে। তাই জুতা কেনার আগে স্থায়িত্ব, গ্রিপ এবং আবহাওয়া সহনশীলতার বিষয়গুলোতে সবচেয়ে বেশি মনোযোগ দেওয়া উচিত। আপনার জুতা এমন হওয়া চাই, যেন পাথরের রাস্তা, কাদামাটি বা ভেজা জায়গায়ও টিকে থাকতে পারে।
নিজের জন্য সঠিক এক জোড়া জুতা বেছে নিতে গিয়ে অনেক সময় বিভ্রান্তিতে পড়তে হয়। তাই জুতা কেনার আগে কিছু বিষয়ের দিকে নজর দিলে আপনিও বেছে নিতে পারবেন টেকসই জুতা।
যা দেখবেন
উপকরণ
জুতার ওপরের অংশ, যেটাকে ‘আপার’ বলা হয়, সেটা যেন মজবুত ও বায়ু চলাচলের উপযোগী হয়। এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। গরম বা শুকনো আবহাওয়ায় মেশ কাপড়ের তৈরি জুতা ভালো। কারণ, এতে বাতাস ঢোকে এবং বেরিয়ে যায়। ফলে পা ঠান্ডা থাকে এবং ঘামে না। অন্যদিকে, যদি বর্ষার দিনে, কাদা মাটি বা বরফের মধ্যে চলেন, তাহলে শক্ত সিনথেটিক কাপড়ের জুতা বেশি উপযোগী। এগুলোতে পানি ঢোকে না। তবে একটা বিষয় মনে রাখা দরকার, ওয়াটারপ্রুফ জুতায় বাতাস কম ঢোকে, তাই বেশি সময় দৌড়ালে পা গরম হয়ে ঘেমে যেতে পারে।
আউটসোল
দৌড়ানোর সময় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জুতার গ্রিপ। যদি দৌড়ানো বা হাঁটার রাস্তা কাদা কিংবা পিচ্ছিল হয়, তাহলে ৪–৬ মিলিমিটার গভীর রাবার সোলের জুতা সবচেয়ে ভালো কাজে দেয়। এগুলো পা পিছলে যাওয়া থেকে বাঁচায় এবং ভারসাম্য ধরে রাখতে সাহায্য করে। আর যদি রাস্তা তুলনামূলক সমান বা পাকা হয়, তাহলে কম গভীর সোল যথেষ্ট।
লেসিং সিস্টেম
ভাবতে পারেন, টেকসই জুতার জন্য ফিতার অবদান কীভাবে। কিন্তু একটু ভালো মানের জুতার সঙ্গে ফিতার সম্পর্কও আছে। যদি আপনি দ্রুত জুতা পরতে চান বা পায়ে আরও শক্তভাবে ও নিরাপদ ফিট চান, তাহলে এমন ফিতা দেখে কিনুন, যেগুলো সহজে খোলা যায়। এতে ফিতা বাঁধতে বা খুলতে সময় লাগে না। মনে রাখবেন, ফিতার কারণে চলতে গিয়ে ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে। তাই আগে ফিতা বাঁধা ঠিক আছে কি না নিশ্চিত করে নেওয়াই নিরাপদ।