নগরীর যানজট নিরসনে জাদুর কাঠির মতো কাজ করছে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প। চার লেনের এ উড়াল সড়কের মূল লেনের দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। গাড়ি ছুটছে ঘণ্টায় ৮০-১০০ কিলোমিটার গতিতে। দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছাতে এর সুফল ভোগ করছে ঢাকাবাসী।
এক সময় নদীর মধ্যে দিয়ে টানেল ছিল কল্পনা। অথচ চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত হয়েছে বহুল আলোচিত টানেল। এটা চীনা প্রযুক্তির এক অনন্য উদাহরণ। ৯৮৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা ব্যয়ে টানেলটি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য চায়না কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেডের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে।
খরস্রোতা পদ্মার বুকে সেতু নির্মাণও সহজ ছিল না। কিন্তু কঠিন কাজটি সহজ হয়েছে চায়না মেজর ব্রিজ কোম্পানির আধুনিক প্রযুক্তির ছোঁয়ায়। ফলে চীনা ঋণ, অনুদান নয়, বরং তাদের প্রযুক্তির ছোঁয়ায় বদলে গেছে দেশের উন্নয়নের গল্প।
কর্ণফুলী টানেল
২০২৩ সালের অক্টোবরে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত হয় দেশের প্রথম টানেল। এর মাধ্যমে নদীর তলদেশে দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম সড়ক টানেলের উদ্বোধন করা হয়। প্রকল্পে টানেল বোরিং মেশিন (টিবিএম) প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। এটা বিশাল ও শক্তিশালী এক ধরনের যন্ত্র, যা নদীর তলদেশ দিয়ে সুড়ঙ্গ খনন করতে সক্ষম।
পদ্মা রেলসেতু প্রকল্পেও আধুনিক প্রযুক্তি
পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ প্রকল্পে চীনের অর্থায়নে চায়না রেলওয়ে গ্রুপ লিমিটেডের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে কংক্রিটের স্লিপার ব্যবহার করে রেল ট্র্যাক তৈরি করা হয়। এছাড়া সেতুটি নির্মাণে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়, যা দ্রুত এবং উন্নতমানের কাজ নিশ্চিত করেছে। রেললাইন তৈরি ও ট্র্যাক স্থাপন করা হয় আধুনিক চীনা প্রযুক্তিতে, যার মধ্যে রয়েছে কংক্রিটের স্লিপার ব্যবহার।
পদ্মা সেতু
পদ্মা সেতু নির্মাণের কাজ শুরু থেকেই ছিল চ্যালেঞ্জিং। নির্মাণকাজের প্রতিটি পর্বেই কোনো না কোনো চ্যালেঞ্জ ছিল। খরস্রোতা পদ্মার বুকে সেতু নির্মাণ মুখের কথা নয়। এখানে নদীশাসন যেমন চ্যালেঞ্জিং ছিল, তেমনি নদীর তলদেশে পাথর না থাকায় পাইলিং করাটাও ছিল বড় চ্যালেঞ্জ। সব কিছুই সম্ভব হয়েছে বিস্ময়কর চীনা প্রযুক্তির জন্য।