বড় হচ্ছে চকলেটের বাজার, কমছে আমদানিনির্ভরতা
দেশে এক দশক আগেও চকলেটের চাহিদার সিংহভাগ আমদানি হতো। এখন এ ব্যবসায় যুক্ত হয়েছে দেশের বড় বড় শিল্পগ্রুপ। পাল্টে গেছে চিত্র। অভ্যন্তরীণ বাজারের বেশিরভাগ এখন দেশি উৎপাদকদের হাতে। বিশেষ করে সুগার কনফেকশনারি ক্যান্ডি বা লজেন্সের বাজার। পাশাপাশি দামি চকলেটেও হিস্যা ক্রমাগত বাড়াচ্ছে কোম্পানিগুলো।
খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশে চকলেট ও ক্যান্ডির বাজার প্রায় দুই হাজার ৮শ কোটি টাকার। এর মধ্যে ক্যান্ডি বিক্রি হয় প্রায় অর্ধেক। বাকিটা চকলেট ও ওয়েফারজাতীয় পণ্য। প্রতি বছর এই বাজার ২০ শতাংশ হারে বাড়ছে। মূলত মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন, ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধিসহ নানাবিধ কারণে বড় হচ্ছে চকলেটের বাজার।
বর্তমানে বিশ্বের প্রায় ৮০টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে বাংলাদেশি চকলেট। প্রতি বছর রপ্তানির সম্ভাবনাও বাড়ছে। কয়েক বছরের মধ্যে এ রপ্তানির পরিমাণ প্রায় হাজার কোটি টাকা ছাড়াবে বলে আশা উৎপাদকদের।
ক্যান্ডির বাজার দেশি কোম্পানিগুলোর দখলে
দেশে চকলেট বলতে এক সময় ক্যান্ডি বা লজেন্সই চিনতো বেশিরভাগ মানুষ। এসব পণ্যের জনপ্রিয়তাও বহু আগে থেকে। এর সঙ্গে গত এক দশকে ওয়েফার, চুইংগামের চাহিদাও বাড়ছে। সবমিলিয়ে এসব সুগার কনফেকশনারি পণ্যের ৮০ শতাংশের দখল দেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর হাতে।
এখন বেশ কয়েকটি বড় শিল্পগোষ্ঠী এসব পণ্য তৈরি করছে। এদের মধ্যে প্রাণ-আরএফএল, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, পারটেক্স স্টার গ্রুপ, সিটি গ্রুপ ও আবুল খায়ের গ্রুপের প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এছাড়া এককভাবে চকলেট উৎপাদনকারী অনেক দেশি প্রতিষ্ঠান আছে, যারা বাজারে ভালো করছে।
- ট্যাগ:
- ব্যবসা ও অর্থনীতি
- উৎপাদন
- চকলেট
- ক্যান্ডি