নতুন মার্জিন ঋণ আইন: দুর্বল কোম্পানিতে আর ঋণ দেওয়া যাবে না
মার্জিন ঋণের কারণে অসংখ্য বিনিয়োগকারী সম্পূর্ণ অর্থ হারিয়ে পথে বসেছেন। একইভাবে পুঁজিবাজারে পতনের ফলে ঋণে ক্ষতির শিকার হচ্ছেন ঋণদাতারা। এর খেসারত দিচ্ছে পুরো বাজার। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঝুঁকি কমাতে আসছে নতুন মার্জিন ঋণনীতি। এতে ঋণের সীমা কড়াকড়ি করা হয়েছে। দুর্বল বা ক্ষতিগ্রস্ত কোম্পানিতে ঋণ বিনিয়োগের সুযোগ বন্ধ করা হয়েছে। পাশাপাশি রয়েছে মার্জিন কল ও বাধ্যতামূলক বিক্রির (ফোর্সড সেল) নতুন নির্দেশনা।
নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এসব বিধান রেখে ‘মার্জিন বিধিমালা, ২০২৫’-এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে কমিশনার মো. সাইফুদ্দিন আজকের পত্রিকাকে জানান, নতুন নিয়মের লক্ষ্য—বিনিয়োগকারী ও ঋণদাতাকে নেগেটিভ ইকুইটির ফাঁদ থেকে রক্ষা করা। এ বিধান কার্যকর হলে বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে এবং ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণে আসবে। শিগগিরই এটি গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে।
কেন প্রয়োজন ছিল নতুন আইন
দুই দশক ধরে বাজারে নিয়মের ফাঁকফোকর ও অতিরিক্ত ঋণ ব্যবহারের কারণে বহু প্রতিষ্ঠান ও বিনিয়োগকারী বিপুল ক্ষতির মুখে পড়েছেন। ২০০৭ থেকে ২০১২ সালে অতিরিক্ত ঋণনির্ভর বিনিয়োগের ফলে ২০১০ সালের ধস ভয়াবহ ক্ষতিতে রূপ নেয়। অনেক প্রতিষ্ঠান বাধ্যতামূলক মার্জিন কল না দেওয়ায় নেগেটিভ ইকুইটি জমে, যার পরিমাণ প্রায় ১৫-২০ হাজার কোটি টাকা। বিনিয়োগকারীদের মোট ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক ৫০-৭০ হাজার কোটি টাকা।