
বিতর্কিতরা যেন নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে না পারে, ইসিকে বিএনপি
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, বিগত নির্বাচনগুলোতে বিতর্কিত-প্রশ্নবিদ্ধ যারা রয়েছেন, তাদের যেন আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রক্রিয়ায় কোনোভাবে অংশগ্রহণ করতে না পারে, কোনো প্রভাব ফেলতে না পারে, সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনের (সিইসি) সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইসমাইল জবিউল্লাহ ও সাবেক অতিরিক্ত সচিব ড. মোহাম্মদ জকরিয়া।
মঈন খান বলেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আমরা যে ছাত্রজনতার অভ্যুত্থান দেখেছি, তার ফলশ্রুতিতে আজকে আমরা এই অবস্থায় উপনীত হয়েছি। সেই পরিবর্তন আমরা চাই যে পরিবর্তনের মাধ্যমে এদেশের ১৮ কোটি মানুষ একটি গণতান্ত্রিক পরিবেশে নির্ভয়ে বসবাস করতে পারবে। সাংবাদিকরা নির্ভয়ে কথা বলতে পারবে, দেশের ১২ কোটি ভোটার নির্ভয়ে তাদের ইচ্ছেমতো ভোট দিতে পারবে— সেই কথাগুলো আজকে এখানে আমরা বলতে এসেছিলাম।
বিএনপির এ নেতা বলেন, আমরা নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করেছি যে, তারা যেন একটি উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারে। যাতে বাংলাদেশের মানুষ শুধু নয়, বিশ্বের মানুষ যাতে বুঝতে পারে যে বাংলাদেশ গণতন্ত্রের পথে এগোচ্ছে। এদেশে একটি সুষ্ঠ নিরপেক্ষ নির্বাচন যাতে হয় এবং সেই গুরুদায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের ওপরে রয়েছে বলেই আজকে আমরা এই আলোচনায় এসেছি।
সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব— এমন মন্তব্য করে মঈন খান বলেন, আপনারা সবাই জানেন যে নির্বাচন কমিশনের হয়তো পাঁচজন বা কয়েকজন সদস্য রয়েছেন তারা আমাদের সংবিধানের মাধ্যমে এখানে এসেছেন। একথা বলার অপেক্ষা রাখে না নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব যে জনবল সেটা কিন্তু অত্যন্ত সীমিত। আমাদের দেশে ইংল্যান্ড, আমেরিকার মতো আমরা নির্বাচন করি, একটি দিনে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, সকাল থেকে বিকেল বা সন্ধ্যা পর্যন্ত। কাজেই একটি দিনে এই যে বিরাট কর্মযজ্ঞ, আপনারা ধারণা করে দেখুন, আমি কথার কথা বলছি, আমাদের ৩০০টি নির্বাচনি এলাকা রয়েছে। আমাদের প্রায় ৪২ হাজার ভোট কেন্দ্র রয়েছে। একেকটি ভোটকেন্দ্রে গড়ে পাঁচ থেকে সাতটি বুথ থাকে। তাহলে চিন্তা করতে পারেন যে কত বড় একটি কর্মযোগ্য। এটা তো শুধু এই পাঁচজন করতে পারবেন না, এর জন্য যে বিশাল একটি ম্যানপাওয়ার লাগবে। সেটা নির্বাচন কমিশন মূলত সরকার থেকে সেইদিনের জন্য বা কয়েকদিনের জন্য ধার করে নিয়ে আসে। আমাদের সংবিধান অনুযায়ী সেই কিছুদিনের জন্য সেই সরকারি কর্মকর্তারা এক্সিকিউটিভ ব্রাঞ্চের কর্মকর্তা না হয়ে নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করে। এখন এটাই হচ্ছে বড় প্রশ্ন।