আগুন লাগার পর ঘুম ভাঙে কেন?

ঢাকা পোষ্ট আদিল মুহাম্মদ খান প্রকাশিত: ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ১২:৪৬

পাঁচ দিনের মধ্যে তিনটি বড় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে গেল দেশে। ১৪ অক্টোবর ২০২৫ মিরপুরের রূপনগরে, তার একদিন বাদেই চট্টগ্রাম ইপিজেডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। ঢাকায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো এলাকায় ১৮ অক্টোবর ২০২৫।


চট্টগ্রাম ইপিজেডের মতো বিশেষায়িত শিল্প এলাকায় আগুন লাগবার পর বিমানবন্দরের মতো অতি গুরুত্বপূর্ণ এলাকায়ও লেগেছে আগুন। এই দুটো ঘটনাতেই আগুন পুরোপুরি নেভাতে এক দিনের মতো সময় লেগেছে। কেউ মারা না গেলেও সম্পদের ক্ষতি হয়েছে অপূরণীয়। আবার মিরপুরের রূপনগরের আগুনে ১৬ জনকে মৃত্যুবরণ করতে হয়েছে।


তিনটি বড় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা দেশে নানা ধরনের আলোচনার জন্ম দিয়েছে। জনমনে তৈরি হয়েছে আতঙ্ক। সব ক্ষেত্রেই আমাদের অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থার দুর্বলতার পাশাপাশি সামগ্রিক পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনার গাফিলতির বিষয়টি উঠে এসেছে আবারও। ফলে শহরের পরিকল্পনা, ভবনের ডিজাইন, অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা সবকিছু নিয়েই আমাদের গভীর বিশ্লেষণ প্রয়োজন।


একইসাথে এই সব আগুনের ঘটনাতে নাশকতার সম্ভাবনাকে অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে বিবেচনায় নিয়ে তদন্ত করার দাবি উঠেছে। অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে ঢাকার বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজসহ অন্যান্য অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নাশকতা বা অগ্নিসংযোগের কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়া গেলে সরকার তাৎক্ষণিক ও দৃঢ় পদক্ষেপ নেবে বলে জানিয়েছে। 


ইতিমধ্যে বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে যা জানা গিয়েছে, বিমানবন্দরের আমদানি কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ আগুনের নেপথ্যে দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাসমূহের কার্যকর সমন্বয়ের অভাব ছিল। অগ্নিকাণ্ডের শুরুতেই উপযুক্ত মনিটরিং, পেট্রোলিং ও নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত সদস্যরা সক্রিয় থাকলে দ্রুত এই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়তো সম্ভব হতো।


ফায়ার স্টেশনের কর্মীদের অনেকে বলেছেন, বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনার কারণে তারা আগুন নেভাতে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেননি। দ্রুত পণ্যগুলো সরিয়ে দেওয়া হলে আগুনের কাছাকাছি গিয়ে পানি ছিটানো যেত। তাহলে আগুন এত ছড়িয়ে পড়ত না। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিও এড়ানো যেত।


একটি আন্তর্জাতিক মানের বিমানবন্দরে সব ধরনের আগুন নির্বাপণের কার্যকর ব্যবস্থা থাকা দরকার। কিন্তু ঢাকার বিমানবন্দরে তা নেই। বিমানবন্দর পরিচালনার দায়িত্বে যারা রয়েছেন, তাদের মধ্যেও চরম অব্যবস্থাপনা ও সমন্বয়হীনতার দায় রয়েছে এই অগ্নিকাণ্ডে। ঢাকার বিমানবন্দর এলাকায় ইতিপূর্বেও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল। তখন ফায়ার সার্ভিস কিছু সুপারিশ করেছিল। সেই সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করা হয়নি। বাস্তবায়ন করা হলে আগুনে এত ক্ষয়ক্ষতি হতো না।


সবগুলো অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা মোটামুটি একইরকম। চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (সিইপিজেড) এলাকায় আগুন লাগা সাততলা ভবনটির অগ্নিনিরাপত্তা সনদ ছিল না। কারখানার ভেতরে রাসায়নিক দাহ্য পদার্থ ছিল। সেটা নেভানোর পর্যাপ্ত ব্যবস্থা ছিল না কারখানায়। ভবনের সেট ব্যাক বা দুটো ভবনের মধ্যবর্তী দূরত্ব ছিল অপর্যাপ্ত। ফলে ভবনের দুই পাশ দিয়ে আগুন নেভানোর সুযোগ ছিল না।


ফায়ার সার্ভিস এর পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, 'চট্টগ্রাম ইপিজেডের কারখানাতে ফায়ার সেফটি প্ল্যানের (অগ্নিনিরাপত্তা পরিকল্পনা) আবেদন করা হয়েছে কেবল। তবে নিয়ম অনুযায়ী এখনো পরিদর্শন হয়নি। তার আগেই দুর্ঘটনা ঘটে গেছে।'


দুর্ঘটনা তো এভাবেই ঘটে। তাহলে ফায়ার সেফটি প্ল্যান ছাড়া কীভাবে কারখানাটি চলছিল। এভাবেই তো বাংলাদেশে হাজার হাজার শ্রমিকদের জীবনের নিরাপত্তাকে উপেক্ষা করে দিনের পর দিন কারখানা চালানো হচ্ছে। ঝুঁকিতে ফেলা হচ্ছে মানুষের জীবন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও