
‘মানসিক বিপর্যয়ে’ পাবনা মানসিক হাসপাতাল
চিকিৎসক-জনবলসহ নানা সঙ্কটে ভুগছে পাবনার মানসিক হাসপাতাল। নেই পর্যাপ্ত অবকাঠামো, খাবার, ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম। নিরাপত্তা কাজে নিয়োজিত আনসার সদস্যদের টাকা দিলেই মিলছে ভেতরে প্রবেশের গ্রিনকার্ড। ফলে সহজে ভেতরে ঢুকে রোগীদের উত্ত্যক্ত ও মানসিকভাবে হেনস্থাসহ নানা অপরাধ দিনদিন বেড়ে চলছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ১৯৫৭ সালে মানসিক রোগের বিশেষ চিকিৎসার জন্য সরকারিভাবে দেশের একমাত্র বিশেষায়িত হাসপাতাল হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হয় পাবনা মানসিক হাসপাতাল। যেখানে বিশেষ চিকিৎসার পরিবর্তে মিলছে নতুন এক মানসিক ট্রমা। এ ট্রমার নাম মানসিক হেনস্তা। যেটি বর্তমানে দেদারসে করে যাচ্ছেন কথিত বিভিন্ন কনটেন্ট ক্রিয়েটররা। হাসপাতালে রোগীর স্বজন ছাড়া বাইরের কারোর প্রবেশাধিকার না থাকলেও নিরাপত্তারক্ষী আনসার সদস্যরা ৫০/১০০ টাকা নিয়ে অনায়াসে ভেতরে ঢুকছেন তারা। এরপর ভেতরে গিয়ে উত্ত্যক্তমূলক প্রশ্ন ও কর্মকাণ্ডে মানসিক রোগীদের হয়রানি করা হচ্ছে। কেউ দিচ্ছেন টাকা, আবার কেউ দিচ্ছেন সিগারেটও। এসব ভিডিও করে ছাড়া হচ্ছে ইউটিউব ও ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
সম্প্রতি হাসপাতালে ঢুকতে চাইলে গেটে থাকা দুই আনসার সদস্য ভেতরে গিয়ে আরেক আনসার সদস্য এনামুলের সঙ্গে কথা বলতে বলেন। সেখানে ওই আনসার সদস্য জানান ভেতরে ঢুকতে গুণতে হবে টাকা। দরকষাকষির একপর্যায়ে ১০০ টাকায় রফাদফা হয়। এ টাকা দিলে ওই আনসার সদস্য নিজে ভেতরে পৌঁছে দেন। যার প্রমাণ রয়েছে জাগো নিউজের হাতে।
- ট্যাগ:
- স্বাস্থ্য
- জনবল স্বল্পতা
- চিকিৎসক সংকট