‘ছেলের বেডের পাশে পুলিশ, খুব অস্বস্তি লাগে’

প্রথম আলো চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রকাশিত: ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:৫০

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঁচ বছর ধরে পড়ে আছে প্রিজন সেল। বন্দীদের চিকিৎসা হচ্ছে সাধারণ ওয়ার্ডে। একজন বন্দীর পেছনে দৈনিক ১০ জন কারারক্ষী ও পুলিশকে পাহারায় থাকতে হয়। অথচ হাসপাতালে প্রিজন সেল চালু হলে সব বন্দী, আসামিকে পাহারায় লাগত ছয় থেকে সাতজন।


চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছেলের বিছানার পাশে বসে ছিলেন হাজেরা বেগম। বয়স্ক এই নারীর চোখমুখে ক্লান্তি আর বিরক্তি। তাঁর ছেলের শয্যার পাশেই এক আসামির শয্যা। আর সেই শয্যা ঘিরে ছিলেন চারজন কারারক্ষী ও পুলিশ। হাজেরা বেগমকে এ কারণে সব সময় সতর্ক থাকতে হয়। ওয়ার্ড থেকে নানা কাজে বাইরে যাওয়া কিংবা ছেলের পাশে ঘুমানোও তাঁর জন্য বিব্রতকর বলে জানালেন। হাজেরা বলেন, ‘দিনরাত ছেলের সঙ্গে আছি। ছেলের বেডের পাশেই পুলিশ। খুব অস্বস্তি লাগে।’


চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ৩০ শয্যার প্রিজন সেল থাকলেও পাঁচ বছর ধরে সেটি খালি পড়ে আছে। পৃথক সেল না থাকায় বিভিন্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিচ্ছেন কারাগার থেকে আসা অসুস্থ বন্দীরা। পাশাপাশি পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার আসামিদেরও চিকিৎসা দেওয়া হয় সাধারণ রোগীদের সঙ্গে। তাঁদের সঙ্গে পাহারায় থাকেন কারারক্ষী ও পুলিশরা। এতে অস্বস্তিতে থাকেন হাজেরার মতো সাধারণ রোগীদের স্বজনেরা। সাধারণ ওয়ার্ডে বন্দীদের চিকিৎসা দেওয়ার ক্ষেত্রে নিরাপত্তার ঝুঁকি আছে বলেও স্বীকার করেছেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এ ক্ষেত্রে বন্দীদের চিকিৎসাস্থলে বহিরাগতদের আনাগোনা বন্ধ করাও কঠিন হয়ে পড়ছে। চমেক হাসপাতালে আলাদা প্রিজন সেল চালুর জন্য কারা কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ চমেক কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিলেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না।  


চমেক হাসপাতালে কারাগার ও থানা থেকে আসা ১০ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন বর্তমানে। তাঁদের পাশের শয্যায় থাকা অন্তত ১৫ জন রোগীর স্বজন অভিযোগ করেছেন, তাঁরা অস্বস্তিতে থাকেন কারারক্ষী ও পুলিশের কারণে।


পুলিশের অভিযানে পালাতে গিয়ে আহত আসামিদেরও চিকিৎসার জন্য আনা হয় হাসপাতালে। প্রিজন সেল না থাকায় তাঁরাও চিকিৎসা নেন বিভিন্ন ওয়ার্ডে। সরেজমিন দেখা যায়, হাসপাতালের ক্যাজুয়ালটি ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিচ্ছেন চান্দগাঁও থানা-পুলিশের হাতে আটক আসামি সাইফুল ইসলাম। তাঁর পাশে পাহারায় আছেন কনস্টেবল মো. সিয়াম ও মো. জোবায়ের। তাঁদের আশপাশে অন্য সব রোগী। চিকিৎসাধীন নুরনবীর স্ত্রী সালেহা খাতুন বলেন, ‘আমাদের পাশে দুজন পুলিশ পাহারায় থাকায় সারাক্ষণ বিব্রতবোধ করি।’

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও