মোহাম্মদপুরে নিহত ২: গণপিটুনি নয়, পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড

www.ajkerpatrika.com মোহাম্মদপুর, ঢাকা প্রকাশিত: ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ১০:৪৫

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ভোররাতে একজনকে, ভোর হতেই আরও একজনকে একই কায়দায় রাস্তায় পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এরপর রটানো হয়, ছিনতাইকারী সন্দেহে গণপিটুনিতে দুই তরুণের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশও একই সুরে গণপিটুনির তথ্য ছড়িয়ে দেয় গণমাধ্যমে। আজকের পত্রিকার অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ছিনতাইয়ের সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ কেউ তোলেনি। দুই তরুণকে পূর্বপরিকল্পনা করে তাঁদের বাসার কাছে একই জায়গায় দুই ঘণ্টার ব্যবধানে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। যাঁরা পিটিয়েছেন এবং যাঁরা নিহত হয়েছেন সবাই পূর্বপরিচিত, একই এলাকার বাসিন্দা।


আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত সারা দেশে ১২৪ জনকে গণপিটুনিতে হত্যা করা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মো. তৌহিদুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘খুঁজলে দেখা যাবে প্রতিটি গণপিটুনির ঘটনাই পরিকল্পিত। ব্যক্তিগত শত্রুতা, রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব ও বিভিন্ন মতবিরোধকে ঘিরে গণপিটুনির নামে এসব হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। শুরুতে যদি জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তির আওতায় আনা হতো, তাহলে এ রকম ঘটনা বারবার ঘটত না।’

গত ১০ সেপ্টেম্বর ভোররাত ও সকালে মোহাম্মদপুরের নবীনগর হাউজিংয়ের ১৬ নম্বর সড়কের মাথায় সাঁকোরপাড় এলাকায় দুই দফায় চার তরুণকে পেটানো হয়। ভোররাত সাড়ে ৪টায় মারধরের শিকার হন মো. সুজন ওরফে বাবুল ও মো. শরীফ।


পরে সকাল সাড়ে ৬টায় একই স্থানে আবারও মারধর করা হয় মো. হানিফ ও মো. ফয়সালকে। এতে সুজন ও হানিফ নিহত হন। গুরুতর আহত শরীফ ও ফয়সালকে ছিনতাই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।

নিহত সুজনের গ্রামের বাড়ি ভোলার বোরহানউদ্দিনে। ঢাকার মোহাম্মদপুরের ঢাকা উদ্যানের বি-ব্লকের ৪ নম্বর সড়কের একটি ভাড়া বাসায় বাবা টাইলস মিস্ত্রি জাহাঙ্গীর আলম, মা শাহনাজ বেগমের সঙ্গে থাকতেন। মাঝেমধ্যে বাবার সঙ্গে টাইলসের কাজও করতেন তিনি।


সুজন ৯ সেপ্টেম্বর রাতে নবীনগর হাউজিংয়ে চাচাতো বোনের বাসায় খাওয়ার পর বন্ধু শরীফের সঙ্গে স্থানীয় সাদিক অ্যাগ্রোর গরুর খামারে যান। খামারকর্মী মনিরুলের কক্ষে তাঁরা ঘুমান। ভোররাত ৪টার পর নৈশপ্রহরী মালেক, হাবীবসহ সাত-আটজন তাঁদের খামার থেকে তুলে নবীনগরের ১৪ নম্বর সড়কের মাথায় সাঁকোরপাড় এলাকায় নিয়ে যান।


এই প্রতিবেদক ২৩ সেপ্টেম্বর ওই গরুর খামারে গেলে কর্মচারী মো. মিলন বলেন, খামারে থাকতে দেওয়ার কারণে মনিরুলকেও মারধর করা হয়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও