অফিসের কাজে আপনি অভ্যস্ত, ঝুঁকি নিয়ে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, কোটি টাকার প্রকল্পে নেতৃত্ব দিচ্ছেন কিংবা টানা ১২ ঘণ্টা ধরে কাজ করছেন। লিংকডইনে আপনার পেশাগত প্রোফাইল দেখলে মনে হবে, করপোরেট সাফল্যের এক পূর্ণাঙ্গ রূপ। কিন্তু তারপরও বেশির ভাগ মানুষ আপনাকে মনে রাখে না।
নেটওয়ার্কিং ইভেন্ট, টিম মিটিং কিংবা নতুন কোনো স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে ভার্চ্যুয়াল আলাপ—সব জায়গায় আপনি যেন মিশে যান ভিড়ের ভেতর। কাজেই প্রশ্ন উঠতে পারে, আপনি কি শুধু কাজের জন্য পরিচিত হতে চান, নাকি মানুষ যেন মনে রাখে আপনি কে এবং আপনি কী কী কাজ করে এসেছেন এত দিন।অদৃশ্য থেকে দৃশ্যমান হওয়ার কিছু উপায় আছে। জেনে নেওয়া যাক সেসবই—
১ মিনিটের ‘স্টিকি ইন্ট্রোডাকশন’
নিজেদের পরিচয় দিতে গিয়ে প্রায় সবাই পদবি বা দায়িত্বের কথা বলেন। উদাহরণস্বরূপ, ‘আমি রাকিবুর রহমান, ফিনটেক কোম্পানির স্ট্র্যাটেজির ভিপি।’
এটা নির্ভুল বটে, কিন্তু অপর পাশের মানুষটির ওপর এর কোনো ছাপ পড়ে না। কারণ, এটা শুধু বোঝায় আপনি কী করেন, কেন তা গুরুত্বপূর্ণ, সেটা কিন্তু বোঝায় না।
অসংখ্য উচ্চপদস্থ পেশাজীবীর ভিড়ে একই রকম শোনায় এই ভূমিকা। কোনো আবেগ, গল্প বা ছবি মনে গেঁথে যায় না। মনে রাখার মতো পরিচয় তৈরি করতে প্রয়োজন সংযোগ। একটি ৬০ সেকেন্ডের ‘স্টিকি ইন্ট্রোডাকশন’ বা মনে রাখার মতো ভূমিকা পরিষ্কার, গল্পভিত্তিক ও মূল্যকেন্দ্রিক—এই তিনটি কাজই করে দেয়।
যেমন—
১. আপনাকে দারুণ আস্থার ও কর্তৃত্বসম্পন্ন হিসেবে উপস্থাপন করে।
২. কয়েক সেকেন্ডেই আবেগগত সংযোগ তৈরি করে।
৩. একটি স্মরণীয় গল্প বসিয়ে দেয় মানুষের মনে, যা পরবর্তী সময়ে তাঁরা আপনার অনুপস্থিতিতেও মনে রাখবে।
যা করতে হবে
১. নাম + ভূমিকা (৫ সেকেন্ড)
সহজ ও মানবিক ভঙ্গি।
হাই, আমি রাকিবুর রহমান। ফিনটেক কোম্পানির গ্রোথ স্ট্র্যাটেজি দেখি।
২. গভীরতর উদ্দেশ্য (১০-১৫ সেকেন্ড)
আপনার কাজের পেছনের চালিকা শক্তি কী?
আমার উদ্দেশ্যই হলো আমার প্রতিষ্ঠান যেন ঐতিহ্য ও মানুষের আস্থা না হারিয়ে দ্রুত বড় হয়।
৩. উৎস মুহূর্ত (২০-৩০ সেকেন্ড)
একটি ছোট্ট গল্প বা অভিজ্ঞতা বলুন।
পেশাজীবনের শুরুতে কনসাল্টিংয়ে দেখেছি, টিম ভালো হলেও ভেঙে পড়ে শুধু যোগাযোগ ও সমন্বয়ের অভাবে। তাই আমি কৌশলগত অপারেশন আর দলগত মনোবিজ্ঞানে আগ্রহী।