সড়কের অবৈধ ও মেয়াদোত্তীর্ণ—কোনো যানবাহনই উচ্ছেদ করতে পারছে না সরকার।
এ কাজ করতে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার সাড়ে ১৫ বছরে ব্যর্থ হয়েছে। আর বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিয়ে চেষ্টা চালিয়েছে। তবে তারাও এগোতে পারেনি। ফলে এসব যান সড়কে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি বাড়াচ্ছে।
সরকারি ভাষ্যমতে, নছিমন, করিমন, ভটভটি, ইজিবাইক ও ব্যাটারিচালিত রিকশা অবৈধ। একই সঙ্গে ২০ বছরের পুরোনো ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান, ২৫ বছরের পুরোনো বাস-মিনিবাসও অবৈধ। এই দুই ধরনের যানবাহনই সড়ক দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) হিসাবে, দেশে বৈধ যানবাহন আছে প্রায় সাড়ে ৬৪ লাখ। বৈধ যানের ২ শতাংশের কম বাস-মিনিবাসসহ গণপরিবহন। এর প্রায় ৪৬ শতাংশ মেয়াদোত্তীর্ণ বা লক্কড়ঝক্কড়। আর সরকারের বিবেচনায় ‘অবৈধ’ তিন চাকার যানবাহন আছে প্রায় ৭০ লাখ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে চাহিদার তুলনায় গণপরিবহনের স্বল্পতা আছে। আবার যা আছে, তা–ও জরাজীর্ণ। এই প্রেক্ষাপটে কারিগরিভাবে ত্রুটিপূর্ণ তিন চাকার ব্যাটারি ও ইঞ্জিনচালিত রিকশায় ঢাকাসহ সারা দেশ ছেয়ে গেছে। এসব যান বাড়তে দিয়ে এখন নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। আর ত্রুটিপূর্ণ এই যানগুলো দুর্ঘটনা বাড়াচ্ছে। বাড়ছে প্রাণহানি।