দেশে অনেক ঘটনা ঘটেছে, কিন্তু সবকিছুই পুঁজিবাদের দুঃশাসনের অধীনেই; বাস্তবতা হচ্ছে, একমাত্র ক্ষমতা-বদল ভিন্ন তেমন কোনো রদবদল ঘটেনি। সবই আগের নিয়মে বহাল রয়েছে। ক্ষেত্রবিশেষে আরও অবনতি লক্ষ করা যাচ্ছে। বরং বলা যায়, পুঁজিবাদের চেহারার আরও উন্মোচন ঘটেছে। তালেবান বিতাড়নের নামে আফগানিস্তান দখল করা হয়েছে, কিন্তু তালেবানরা বিতাড়িত হয়নি, তারা আবার ফিরে এসেছে।
বলা বাহুল্য, তালেবানকে পুঁজিবাদী আমেরিকাই তৈরি করেছিল রুশ বাহিনীকে তাড়াবার জন্য; রুশরা চলে গেছে, অন্য শত্রুর অভাবে তালেবান ও মার্কিনরা পরস্পর পরস্পরের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছিল। তবে সেটাই যে প্রধান কারণ এই যুদ্ধের, তা নয়। আমেরিকার জন্য যুদ্ধ খুবই দরকার। নিজেদের দেশের অস্ত্র তৈরিওয়ালাদের ব্যবসা চালু রাখা চাই, সেনাবাহিনীতে লোক নিয়োগ করে বেকার সমস্যা কিছুটা লাঘব করাও দরকার। ঠিকাদারের জন্য সুবিধা করে দেওয়াও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়; সর্বোপরি খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ আফগানিস্তানকে নিজেদের অধীনে নিয়ে আসাটা খুবই জরুরি। ইরাকও তারা দখল করেছে। অজুহাত, সেখানে মানববিধ্বংসী অস্ত্রের সমাহার ঘটেছিল। সেটা যে দুর্বৃত্তের ছল ছিল, তা প্রকাশ পেয়েছে। অস্ত্রশস্ত্রের খবরটা একেবারে ভুয়া ছিল—এটা তারা নিজেরাই স্বীকার করেছে। তবে যুদ্ধ বাধানো দরকার ছিল এবং তার জন্য একটা না একটা অজুহাত যে উদ্ভাবন করা যেতই—সে বিষয়ে সন্দেহ রাখবার কোনো কারণ নেই।