অনেকেই মনে করেন, বিয়ের পর ব্যক্তিস্বাধীনতা হারিয়ে যায়। সব সিদ্ধান্ত নিতে হয় দুজনে মিলে, আবার পরিবার-আত্মীয়ের চাপও এসে পড়ে। তবে সম্পর্কের ভেতরে থেকেও নিজের স্বপ্ন, অভ্যাস আর পরিচয় ধরে রাখা সম্ভব। বরং এতে দাম্পত্য হয় আরও সুন্দর, মজবুত। কীভাবে? চলুন জেনে নিই।
নিজের পরিচয় ভুলবেন না
বিয়ের পর দায়িত্ব বাড়লেও নিজের শখ–আগ্রহ বা লক্ষ্য ভুলে যাবেন না। গান শোনা, লেখালেখি, নতুন কিছু শেখা বা কর্মজীবনের পরিকল্পনা—যা আপনাকে আনন্দ দেয়, সেসব চালিয়ে যান।
একান্ত সময় রাখুন
প্রতিদিন বা অন্তত সপ্তাহে এক দিন নিজের জন্য কিছু সময় রাখুন। বই পড়া, হাঁটাহাঁটি, সিনেমা দেখা বা বন্ধুর সঙ্গে আড্ডা—এসব আপনাকে সতেজ রাখবে। মনে রাখবেন, একটু দূরত্বও সম্পর্কে নতুন উদ্যম আনে।
আর্থিক বিষয়ে স্বচ্ছতা ও স্বাধীনতা
বাংলাদেশি প্রেক্ষাপটে আর্থিক চাপ থাকেই। তাই বাজেট, সঞ্চয় ও খরচে দুজনেরই অংশগ্রহণ জরুরি। পাশাপাশি সম্ভব হলে প্রত্যেকের একটি করে ব্যক্তিগত সঞ্চয় থাকা ভালো। এতে সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা থাকে, আবার একে অপরের ওপর চাপও কমে।
খোলামেলা যোগাযোগ
কোনো বিষয়ে অস্বস্তি লাগলে বা একান্তে সময় চাইলে সঙ্গীকে বলুন। ‘না’ বলার অভ্যাস গড়ে তুলুন—তবে সম্মান রেখে। স্বামী-স্ত্রী দুজনেই যদি খোলাখুলি কথা বলেন, তাহলে সীমা নির্ধারণ সহজ হয়।
নতুন কিছু শিখুন
বিয়ে মানেই শেখার ইতি নয়। বরং নতুন কোনো দক্ষতা, কোর্স বা শখ নিয়ে কাজ শুরু করুন। এতে আত্মবিশ্বাস বাড়বে, সম্পর্কও একঘেয়ে লাগবে না।