আর্থিক, রাজনৈতিক ও পারিবারিক উদ্বেগের কারণে ভবিষ্যৎ নিয়ে দেশের ৪৬ শতাংশ মানুষের আশা হারানো যারপরনাই উদ্বেগের। একটা সমাজের প্রায় অর্ধেক জনগোষ্ঠী যদি জিনিসপত্রের দাম, চিকিৎসা, দুর্নীতি, সন্তানের পড়াশোনা, মাদক, কিশোর অপরাধ—এসব নিয়ে উদ্বেগের কারণে ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাহীন হয়ে পড়েন, তাহলে সেই সমাজের স্বাভাবিক বিকাশ কীভাবে সম্ভব?
গত কয়েক দশকে আমাদের সমাজ, রাজনীতি ও অর্থনীতিতে যে গোষ্ঠীতন্ত্র গেড়ে বসেছে, তাতে উন্নয়নের সুফল মুষ্টিমেয় সুবিধাভোগীর হাতেই যে কেন্দ্রীভূত হয়েছে, এ চিত্র তারই নির্মম প্রতিফলন। সুনির্দিষ্ট নীতিকৌশল ও তার ন্যায়নিষ্ঠ প্রয়োগ ছাড়া চুইয়ে পড়া রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক ব্যবস্থার অসাড়তারও প্রমাণ এটি।
বেসরকারি গবেষণাপ্রতিষ্ঠান পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টারের (পিপিআরসি) জরিপে এই তথ্যের পাশাপাশি আর যেসব তথ্য উঠে এসেছে, সেটা আমাদের নীতিনির্ধারক ও রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য সতর্কবার্তা বলেই মনে করি। কেননা, দলগুলো মুখে গণতন্ত্র ও জনগণের কথা বললেও শেষ পর্যন্ত ব্যবসায়ী, আমলাতন্ত্র ও ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক গোষ্ঠীর স্বার্থকেই সিদ্ধি করে। এই ধারা থেকে সরে এসে নাগরিকদের স্বার্থে নীতি প্রণয়ন ও কর্মসূচি দেওয়া আশু কর্তব্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।