হাসপাতালের করিডোরে শুয়ে কাঁদছিলেন এক সত্তরোর্ধ্ব বয়সী বৃদ্ধ। পাশে বসে কাঁদছেন তার স্ত্রী। দুজনের চোখের পানি ছোট্ট একটি হাত দিয়ে মুছে দিচ্ছে এক শিশু। সে জানে না—এই কান্নার মানে কী। জানে না, যার জন্য তারা কাঁদছে—সে আর ফিরবে কি না।
মাত্র তিন বছরের ছোট্ট শিশু আদিব দগ্ধ ফায়ার ফাইটার নুরুল হুদার ছেলে। তার বাবা তখনো মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছিলেন। নুরুলের শরীরের শতভাগ পুড়ে যায় আগুনে। তার স্ত্রী গর্ভবতী; আর মাত্র ১০ দিন পরই পরিবারে নতুন অতিথি আসার কথা। কিন্তু এখন সেই অপেক্ষা শুধুই বিষাদে মোড়া।