You have reached your daily news limit

Please log in to continue


জাতিসংঘে ইউনূসের সফরসঙ্গী: আন্তর্জাতিক কূটনীতি নাকি বাংলাদেশের রাজনীতি?

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশন শুরু হতে যাচ্ছে নিউ ইয়র্কে।

আমার এক বন্ধু বলছিলেন, “জাতিসংঘের অধিবেশনের সময় ম্যানহাটনে বাংলাদেশি পপুলেশন হঠাৎ করেই বেড়ে যায়। কারণ, বাংলাদেশ থেকে বড়োসড় প্রতিনিধি দল যায়। বেগম জিয়ার সময় এই সংখ্যা একশ’র বেশি ছিল, শেখ হাসিনার সময়ে তা প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যেত। ড. ইউনূসের সময় অবশ্য সংখ্যা প্রকাশ করা হয় না; শুধু বেছে বেছে বিশেষ সফরসঙ্গীদের নাম জানানো হয়।”

এবারও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের চার সফরসঙ্গীর নাম প্রকাশ করা হয়েছে। তার সফরসঙ্গী হিসেবে যাচ্ছেন চারজন রাজনীতিবিদ—বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির।

কেন ড. ইউনূস এই চারজনকে সফরসঙ্গী করলেন? কেন তিনি এই মুহূর্তে তাদেরকে দেশের বাইরে নিয়ে যেতে চাইলেন? সেটি নিশ্চয় গভীর চিন্তাভাবনার ফল।

একজন সিনিয়র সাংবাদিককে আমি জিজ্ঞেস করলে তিনি এটিকে সংক্ষেপে বললেন, ‘ইউনূসের কোয়ালিশন’। তার কথাই যদি ঠিক হয়, তবে এই কোয়ালিশনের উদ্দেশ্য আসলে কী—তা আমরা সেটি একটু খতিয়ে দেখতে পারি।

কেউ প্রশ্ন করতে পারেন—জাতিসংঘের অধিবেশনে বেসরকারি সফরসঙ্গীদের কাজই বা কী? আমি বিগত বছরগুলোতে যা দেখেছি—দামি হোটেলে থাকা, ভালো রেস্তোরাঁয় খাওয়া, নিউ ইয়র্কে আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ করা; এর বাইরে তাদের করার মতো তেমন কিছু থাকে না।

সরকার প্রধানরাও সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে এসে বক্তৃতা দেওয়া ছাড়া যে খুব বেশি কিছু করতে পারেন, তা বলা যাবে না। এত দেশ থেকে এত নেতা একসঙ্গে জড়ো হন—এই অল্প সময়ে কে-ই বা কার সঙ্গে কতটা দেখা করবেন? তবু তারা বেছে বেছে দু-একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতার সঙ্গে বৈঠক করেন। যেমন গেল বছর ড. ইউনূস দেখা করেছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সঙ্গে।

কিন্তু ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গতবার একগুঁয়েমি করে মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেখা করেননি—যার ফলে দুই দেশের সম্পর্কের ওপর নেতিবাচক প্রভাব বেড়েছে। পরে ব্যাংককে তাদের সাক্ষাৎ হলেও আগের না-দেখা হওয়ার তিক্ততা কমেনি বলেই অনুমান করা যায়।

গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘ অধিবেশনে সবসময়ই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করতে চাইতেন, কিন্তু তা সচরাচর সম্ভব হতো না। করিডোরে হঠাৎ ‘হ্যালো’ বলা আর ছবি তোলার ঘটনাকে দেশে সাক্ষাৎকার বলে প্রচার করতেন তিনি।

আসলে জাতিসংঘ অধিবেশনের কূটনৈতিক রীতিনীতি অনেকটাই প্রতীকী—কার সঙ্গে করমর্দন হলো, কার সঙ্গে হলো না, তাতেই পরিমাপ করা হয় সম্পর্কের উষ্ণতা বা শীতলতা।

আবার কাজের কথায় ফিরি। প্রশ্ন হলো—‘ইউনূস কোয়ালিশন’ কেন নিউ ইয়র্কে? পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেছেন, ৩০ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে রোহিঙ্গা সংকটকে ঘিরে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হবে। তাই এ অধিবেশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু রাজনীতিবিদেরা সেখানে কী অবদান রাখবেন—তা স্পষ্ট নয়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন