প্রথমবার কোনো ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে গেলেই পর্দায় দেখা যায় ‘অ্যাকসেপ্ট কুকিজ’ বার্তা। বার্তাটিতে ক্লিক করে তবেই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হয়। কুকিজ মূলত একজন ব্যক্তির ওয়েবসাইট ব্যবহারের সব তথ্য জমা রাখে। ফলে ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনি যা দেখছেন, যা কিছু নামাচ্ছেন, সবকিছুর তথ্য জমা থাকে কুকিজে। পরবর্তী সময়ে কুকিজে থাকা আপনার আগের তথ্য পর্যালোচনা করে বিভিন্ন আধেয় বা কনটেন্ট দেখিয়ে থাকে ওয়েবসাইট। এতে ওয়েবসাইট ব্রাউজিং অনেকটা সহজ হলেও কুকিজ বিজ্ঞাপনদাতা ও তৃতীয় পক্ষকে ব্যবহারকারীর অনলাইন কার্যক্রমে নজরদারি করার সুযোগ করে দেয়। ফলে ওয়েবসাইটের কুকিজ অনেক সময় ব্যবহারকারীর নিরাপত্তার জন্যও ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
কুকিজের ধরন
ওয়েবসাইটে ব্যবহৃত কুকিজ সাধারণত চার ধরনের হয়ে থাকে, যা ‘এসেনশিয়াল কুকিজ’, ‘ফাংশনাল কুকিজ’, ‘অ্যানালাইটিকস কুকিজ’ ও ‘অ্যাডভারটাইজিং কুকিজ’ নামে পরিচিত। এসেনশিয়াল কুকিজ মূলত ওয়েবসাইটে লগইন বা শপিং কার্ট চালু রাখতে ব্যবহার করা হয়। ফলে এসব কুকিজের তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রম বন্ধ করা যায় না। ফাংশনাল কুকিজ ব্যবহারকারীর ভাষা বা অঞ্চলভিত্তিক সেটিংস সংরক্ষণ করে। এ ছাড়া অ্যানালাইটিকস কুকিজ ব্যবহারকারীর ওয়েবসাইট ব্যবহারের সব তথ্য সংগ্রহ করে। অন্যদিকে অ্যাডভারটাইজিং কুকিজ ভিন্ন ভিন্ন ওয়েবসাইটে ব্যবহারকারীর কার্যক্রম অনুসরণ করে লক্ষ্যভিত্তিক বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে।
কুকিজ সংগ্রহের অনুরোধে রাজি হবেন নাকি হবেন না
‘অ্যাকসেপ্ট কুকিজ’ বার্তায় ক্লিক করলে ওয়েবসাইটের প্রায় সব সুবিধাই ব্যবহার করা যায়। তবে একই সঙ্গে বিজ্ঞাপনদাতা ও তৃতীয় পক্ষের নজরদারি বৃদ্ধি পায়। কুকিজ সংগ্রহের অনুরোধে রাজি না হলে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা কিছুটা সুরক্ষিত থাকলেও অনেক সময় ওয়েবসাইটের সব সুবিধা স্বাভাবিকভাবে ব্যবহার করা যায় না। তবে অনেকেই ওয়েবসাইট সম্পর্কে না জেনেই ‘অ্যাকসেপ্ট অল’ বার্তায় ক্লিক করেন। ফলে অপরিচিত বিভিন্ন ওয়েবসাইটের কাছে ব্যবহারকারীর ইন্টারনেট ব্যবহারের ইতিহাস চলে যায়। তাই প্রয়োজনীয় বা গুরুত্বপূর্ণ ওয়েবসাইট ছাড়া অপরিচিত প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটের কুকিজ সংগ্রহের অনুরোধে রাজি না হওয়াই ভালো।