ডাকসুর ফল: জামায়াত তো খুশিই, আওয়ামী লীগও খুশি, বিএনপির জন্য উদ্বেগ

বিডি নিউজ ২৪ আজিজুল পারভেজ প্রকাশিত: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:২৬

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ভূমিধস বিজয় পেয়েছে ইসলামী ছাত্র শিবির। হয়তো রাত পোহালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নিয়ে প্রায় অভিন্ন খবর পাওয়া যাবে।


মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তীকালে যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছিল উজ্জ্বল ভূমিকা, সেখানে খুব বেশি দিন আগেও ছাত্রশিবিরের নির্বিঘ্নে রাজনীতি করার সুযোগই ছিল না, তাদের বিজয় বিস্ময়ের জন্ম দিয়েছে। যদিও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা শিবিরের বিজয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, ‘ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং’য়ের অভিযোগ তুলে প্রত্যাখ্যানও করেছেন অনেকে।


ডাকসুর দুইদিন পরই প্রগতিশীল রাজনীতি ও সংস্কৃতিচর্চার চারণভূমি হিসেবে পরিচিত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়েও ছাত্রশিবির বিজয় পেতে যাচ্ছে বলে ধরে নেওয়া হয়েছে। এমনটা হলে বিস্ময়ের মাত্রা আরও বাড়বে। চরম অব্যবস্থাপনার মধ্যে অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে এরই মধ্যে একজন শিক্ষকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। নির্বাচন শেষ হওয়ার চব্বিশ ঘন্টা পরও কর্তৃপক্ষ ফলাফল ঘোষণা করতে পারেনি। এখানেও অধিকাংশ প্রতিদ্বন্দ্বী প্যানেল নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে অনিয়ম অব্যবস্থাপনার অভিযোগ তুলে।


ঢাকা এবং ঢাকার উপকণ্ঠের দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচনের ফল ও প্রবণতা, শিবিরের বিজয় এবং দেশের প্রধানতম রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠন ছাত্রদলের শোচনীয় পরাজয় জাতীয় রাজনীতিতে কী প্রভাব ফেলবে, সে আলোচনাই হচ্ছে এখন সর্বত্র । এই ফলাফল জাতীয় রাজনীতির অনেক হিসাব-নিকাশই পাল্টে দেবে বলে মনে করছেন কেউ কেউ।


ইসলামী ছাত্রসংঘ থেকে জন্ম নেওয়া ইসলামী ছাত্রশিবির মুক্তিযুদ্ধোত্তর কালে নাম পরিবর্তনের যে কৌশল নিয়েছিল, তা এতদিনে এসে ফল দিয়েছে।


নবজন্মের পরও রাজনীতিতে শিবিরকে নানামুখী কৌশল অবলম্বন করতে দেখা গেছে। এর একটি ছিল, নিজেদের কর্মীদের বিভিন্ন দলে ঢুকিয়ে দেওয়া কিংবা ঢুকে যাওয়া। যেটি এক সময় ব্রিটিশ ও পাকিস্তান আমলে কমিউনিস্ট কর্মীরা করে থাকতেন। কমিউনিস্ট পার্টি নিষিদ্ধ থাকার কারণে প্রথম দিকে তারা কংগ্রেসে আশ্রয় নিয়েছিলেন। এরপর পাকিস্তান আমলে আওয়ামী লীগ ও ন্যাপের মধ্যেও অনেকে আত্মগোপন করেছিলেন।


জুলাই অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের পতনের পর প্রকাশ্যে এসেছে যে, শিবির তাদের বিপুল সংখ্যক কর্মী বিগত দেড় দশক ছাত্রলীগের মধ্যে গুপ্ত ছিল। তাদের কেউ কেউ পদপদবিও আদায় করে নিয়েছিল। তারা নিজেদের ছাত্রলীগ প্রমাণ করার জন্য মারমুখি ভূমিকায়ও অবতীর্ণ হতো। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা আবদুল কাদের সম্প্রতি এ রকম একটি দীর্ঘ তালিকা প্রকাশ করেছেন। খোদ ডাকসুতে বিজয়ী ভিপি সাদিক কায়েম ও জিএস এস এম ফরহাদ ছাত্রলীগে গুপ্ত থেকে লীগের রাজনীতি করেছেন বলে তথ্য বেরিয়েছে নির্বাচনের আগেই। অভিযোগ রয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবিরের ২০ থেকে ৩০ শতাংশ কর্মী ছাত্রলীগের মধ্যে আত্মগোপন করেছিল তখন। ছাত্রদলের মধ্যেও কি নেই? সেটা কি পরিমাণ? সেটা নিশ্চয়ই তারা ভাববে। শিবিরের নিজেদের দলীয় পরিচয়ে কর্মী ছিল কেবল তারা, যারা ডেডিকেটেড, ফুলটাইমার এবং দলের আর্থিক সুবিধপ্রাপ্ত। অন্য দলের মধ্যে লুকিয়ে থাকলেও শিবির মতাদর্শের কর্মী-অনুসারীরা যখনই স্বাধীনভাবে নিজের সিদ্ধান্ত প্রকাশের সুযোগ পেয়েছে তখনই নিজের আদর্শের পক্ষে ভোট দিয়ে দিয়েছে। যার ফলে এই বিপুল বিজয় সম্ভব হয়েছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও