You have reached your daily news limit

Please log in to continue


দেশে দেশে ট্রাম্প এফেক্ট ও মোকাবেলার উপায়

বর্তমান বিশ্বে বিজ্ঞান, অর্থনীতি, সমাজনীতি সর্বত্র কতরকম যে এফেক্টের ছড়াছড়ি তা বলে শেষ করা যাবে না। তবে এসময়কার সবচেয়ে বিখ্যাত এমন এফেক্টের দুটি হলো: গ্রিন হাউজ এফেক্ট ও ট্রাম্প এফেক্ট। আর এ দুটি এফেক্টই এখন বিশ্বব্যাপী মানুষের জীবনকে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করছে। আরও উল্লেখযোগ্য দিক হলো এ দুটি প্রভাব বা এফেক্ট আন্তঃসম্পর্কিত, এমনকি বলা যায় একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। আরও সঠিকভাবে বললে, গ্রিন হাউজ এফেক্ট আসলে ট্রাম্প এফেক্টেরই একটা অংশ। এগুলোর প্রভাব কত বিস্তৃত ও গভীর তা খুঁটিয়ে না দেখলে বিশ্বাস করাই মুশকিল।

এ দুই প্রভাবই বিশ্বে বাড়াচ্ছে তাপমাত্রা, দুর্যোগ, অস্থিরতা, অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু ও ভবিষ্যতের অনিশ্চিয়তা। তবে একটি এফেক্ট ভৌগোলিক ও জলবায়ু ক্ষেত্রে, আরেকটি সামাজিক-রাজনৈতিক ক্ষেত্রে— দুইই পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকি স্বরূপ। ডনাল্ড ট্রাম্প ও তার সাগরেদরা বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির সত্যে বিশ্বাস করেন না, তারা একে চীনের প্রচারিত মিথ্যাচার বলে দাবি করে থাকেন। জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধিসহ বৈশ্বিক উষ্ণতার জন্য দায়ী সকল কর্মকাণ্ডকেই তারা উৎসাহিত করছেন। আর এর জন্য সবচেয়ে বেশি দাম দিতে হবে বাংলাদেশের মত কয়েকটি দেশকে।

এই দুই প্রভাবই পৃথিবীজুড়ে বাড়িয়ে চলেছে তাপমাত্রা, দুর্যোগ, অস্থিরতা, অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু আর ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তা। একটি এফেক্ট ভৌগোলিক ও জলবায়ুর খাতে, আরেকটি সামাজিক-রাজনৈতিক খাতে। তবে দুটোই পরিবেশের জন্য ভয়াবহ হুমকি। ডনাল্ড ট্রাম্প আর তার অনুগতদের দলবল বৈশ্বিক উষ্ণতার সত্যটাকে মানতেই নারাজ—তাদের মতে, এটা নাকি চীনের বানানো গল্প! মজার ব্যাপার হলো, নিজেরা আবার তেল-গ্যাস- কয়লার মতো জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বাড়ানোর জন্য দিনরাত প্রচার চালান। বৈশ্বিক উষ্ণতার জন্য দায়ী যত কর্মকাণ্ড, তার সবকিছুকেই তারা যেন ব্যাপক উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছেন। আর এই বেপরোয়া উৎসাহ দানের আসল মূল্য গুনতে হবে বাংলাদেশসহ কয়েকটা দুর্বল দেশকে—যারা অপরাধে শরিক হয়নি, কিন্তু শাস্তি ভোগ করতে বাধ্য হবে।

অথচ বাংলাদেশে নদী ভাঙনের বা জলোচ্ছ্বাসের কবলে পড়ে বাস্তুচ্যুত হয়ে শহরে ঠাঁই নেওয়া ভাসমান লোকটি জানছেনই যে, তিনি ট্রাম্পের জলবায়ুকেন্দ্রিক বিশ্বাসঘাতকতার শিকার। আবার দেশে দেশে শারীরিকভাবে আক্রান্ত মানুষ, এমনকি মৃতদেহ ও বইপুস্তক পর্যন্ত, জানেই না যে এ ট্রাম্প এফেক্টেরই আরেক রূপ। ট্রাম্পের মুখ থেকে ছিটকে বের হওয়া কদর্য শব্দগুলো আজ বিশ্বজুড়ে এক ধরনের ভাষা-বিপ্লব ঘটিয়ে ফেলেছে। সেই ঢেউ আছড়ে পড়ছে সর্বত্র। আর আশ্চর্য হলেও সত্যি—বিশ্বজুড়ে এফ-ওয়ার্ড আর চ-বর্গীয় শব্দের বন্যা হয়তো বৈশ্বিক উষ্ণতার চেয়ে কম বিপজ্জনক নয়।

ইরান-ইসরায়েল সংঘর্ষ থামাতে গত ২৪ জুন হোয়াইট হাউসে একেবারে সাংবাদিকদের সামনেই ট্রাম্প ছুড়ে মারলেন একটি এফ-বোমা—আর সঙ্গে সঙ্গে গোটা দুনিয়া হাঁ করে তাকিয়ে রইল। এইসব বোমা এখন নাকি আইফেল টাওয়ারের মাথার ওপর দিয়েই আমদানি হয়ে বাংলাদেশে ঢুকছে—তার দুয়েকটা এখানে কারো টিনের চালে গিয়ে পড়লেও পড়তে পারে। কানে আঙুল দিয়ে শোনা কাউয়ার ডাকের মতন একেকটা ‘কাব্যিক’ বিস্ফোরণ এখানে ট্রাম্প এফেক্টের উজ্জ্বল উদাহরণ।

এফ-বোমা ছাড়াও আরও অনেক আধুনিক উদ্ভাবনের জন্য ট্রাম্প একক কৃতিত্বের যোগ্য দাবিদার। ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটাল হিলে কংগ্রেস সভায় ট্রাম্প বাহিনীর আক্রমণ মবের ইতিহাসে এক অনন্য নজির স্থাপন করেছে। ক্যাপিটলে নিয়োজিত ১৪০০ পুলিশ সদস্য সেদিন নীরব দর্শকের ভূমিকা পালনের উল্লেখযোগ্য গৌরব অর্জন করেছেন! সেই ঐতিহাসিক বিজয়ের পর মববাহিনীগুলোর আর বিশ্বের কোথাও পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। যারা এই মব তৈরি করেছিলেন তাদের নাম উচ্চারণ করা মাত্র গর্বে বুক ভরে যায়, বিশেষ করে আমাদের! প্রাউড বয়েজ, ওথ কিপারস— অর্থাৎ গর্বিত ছেলে, শপথ রক্ষাকারী ইত্যাদি, আহা কী সুন্দর— আর তাদের মিছিলের নাম ছিলো আরও সুন্দর: আমেরিকা বাঁচাও!

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন