ধারের বদভ্যাস আছে? এই কাজগুলো করুন
জরুরি প্রয়োজনে টাকা ধার করা লাগতেই পারে। কিন্তু টাকা ধার করাটা যদি অভ্যাস হয়ে ওঠে, তাহলেই বিপদ। নিয়মিত ধার মোটেও ভালো অভ্যাস নয়। বরং ঋণী ব্যক্তি আজীবন দরিদ্র থাকেন। ধারের টাকা শোধ করতে না পেরে মানসিক অবসাদে ভোগেন কেউ কেউ। আর্থিক চাপে কেউ কেউ আবার নানা অঘটনও ঘটিয়ে ফেলেন।
নিজের আয়–ব্যয় পর্যবেক্ষণ
মাসের শুরুতে আপনার আয় ও মাসিক খরচের তালিকা তৈরি করুন। কোন জায়গায় অপ্রয়োজনীয় ব্যয় হচ্ছে চিহ্নিত করুন। মানুষের যখন নিজের আর্থিক অবস্থা সম্বন্ধে পরিষ্কার ধারণা থাকে, তখন ধারের দিকে ঝোঁক কমে। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের জীবনযাপনে নানা ধরনের পরিবর্তন আসবে, এটাও সত্যি। তাই পুরোপুরি গরিবি হালে না চলতে চাইলে বরং বিকল্প আয়ের পথ তৈরি করতে পারেন।
বাজেট তৈরি করুন
এই বাজেট মানে হলো আয় অনুযায়ী ব্যয়ের পরিকল্পনা। প্রয়োজনীয় জিনিসের জন্য আলাদা এবং অপ্রয়োজনীয় জিনিসের জন্য আলাদা বাজেট তৈরি করুন। সঠিকভাবে বাজেট তৈরি করতে পারলে সেটা মেনেই টাকা ধার করার প্রয়োজনীয়তা কমিয়ে আনা যাবে। বাইরে খেতে যাওয়ার অভ্যাস আধুনিক জীবনযাপনে একধরনের বিনোদন। তবে প্রতি শুক্রবার বাইরে খেতে যাওয়ার কারণে যদি ধার করতে হয়, তাহলে সেটা ভালো অভ্যাস নয়। সে ক্ষেত্রে বাজেটে মাসে চার দিনের বদলে সামর্থ্য বুঝে এক বা দুই দিন বাইরে খেতে পারেন। জীবনযাপনের সব ক্ষেত্রেই এমন অভ্যাসের চর্চা করতে হবে। আবার কেউ হয়তো বাইরে খাওয়া বলতেই দামি রেস্তোরাঁয় যাওয়া বোঝেন, কেউ ফাস্টফুডের দোকান।
জরুরি তহবিল গঠন
মাসে সামান্য হলেও কিছু টাকা ‘জরুরি ফান্ড’ হিসেবে আলাদা করে রাখুন। পারিবারিক এমন তহবিল থাকলে হঠাৎ খরচের জন্য ধারের ওপর নির্ভর করতে হয় না। এই অভ্যাস অনেকটা মুষ্টির চাল সংগ্রহের মতো। একটু একটু করে জমালে জরুরি দরকারে সেটাই আপনাকে ধারের হাত থেকে বাঁচাবে। তবে জরুরি সময় যেমন ‘জরুরি তহবিল’ থেকে খরচ করবেন, তেমন বিপদ কেটে গেলে আবার সেখানে টাকা রাখার চেষ্টা করতে হবে।