চীন-ভারতের কাছে আসার চেষ্টা যে বার্তা দিচ্ছে

প্রথম আলো পঙ্কজ সরণ প্রকাশিত: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৩:২৪

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০১৮ সালের পর প্রথমবার চীন সফর করলেন। এ সফর আরও একবার মনে করিয়ে দিচ্ছে, আন্তর্জাতিক সম্পর্কের জগতে কূটনৈতিক অবস্থান পরিবর্তনই একমাত্র স্থায়ী বিষয়। আর ভারত-চীন সম্পর্কে বারবার অদল–বদল আসায় এই দুই দেশের সম্পর্ক বরাবরই কূটনীতি নিয়ে আগ্রহীদের কাছে ‘উপাদেয়’ আলোচনার বিষয়।


আগে যখন ভারত আর চীনের আন্তর্জাতিক গুরুত্ব তুলনামূলকভাবে কম ছিল, তখনো তাদের সম্পর্ক শুধু দুই দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না; তার প্রভাব আরও দূর পর্যন্ত গিয়েছিল। বাইরের নানা ঘটনা ও পরিবর্তন সব সময়ই এই সম্পর্ককে প্রভাবিত করেছে। আজ সেই প্রভাব আরও বেশি এবং গভীর।


ইতিহাস বলছে, ভারত-চীন সম্পর্কের উত্থান-পতন হয়েছে বারবার, কিন্তু তা স্থায়ী হয়নি। ভারতের চীন নীতি বরাবরই একটা স্থিতিশীল ও অনুমেয় ভারসাম্য খোঁজার চেষ্টা করেছে। এটিই তিয়ানজিন সম্মেলনকে বোঝার সবচেয়ে ভালো উপায়।


২০২০ সালে চীন পূর্ব লাদাখে হাজার হাজার সেনা ও অস্ত্র মোতায়েন করে; ফলে গালওয়ান সংঘর্ষ হয়। তারপর থেকেই সম্পর্কের টানাপোড়েন তৈরি হয়। ২০২৪ সালে দুই দেশ সম্পর্ক মেরামতের সিদ্ধান্ত নেয়। এর পেছনে বড় কারণ ছিল যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য রাজনৈতিক পরিবর্তন। একই বছরের অক্টোবরে দেমচক ও দেপসাং সীমান্ত অঞ্চলের সমস্যা সমাধানই ছিল সম্পর্ক মেরামতের প্রথম বড় পদক্ষেপ। এরপর থেকে নীরবে হলেও সম্পর্ক ধীরে ধীরে ঠিক হতে থাকে। আগস্টে ভারত সফরে এসে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিশেষ প্রতিনিধি ওয়াং ই সীমান্তসহ নানা বিষয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেন।


আসলে ভারত-চীনের সম্পর্ক মেরামতের প্রক্রিয়াটা দুটি বড় বাইরের ঘটনার মধ্য দিয়ে এগিয়েছে। তার একটি ঘটনা নেতিবাচক। অন্যটি ইতিবাচক। নেতিবাচক ঘটনাটি হলো, পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা এবং পাকিস্তানকে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ চীনের সামরিক ও গোয়েন্দা সহায়তা। আর ইতিবাচক ঘটনাটি হলো, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভারতের বিরুদ্ধে শুরু করা বাণিজ্যযুদ্ধ।


ট্রাম্প প্রশাসন পাকিস্তানকে, বিশেষ করে দেশটির সেনাপ্রধান আসিম মুনিরকে এতটা গুরুত্ব দেওয়ায় চীন বিস্মিত হয়েছে। অনেকে মনে করেন, ট্রাম্প প্রশাসনের এই নীতিই ভারতকে চীনের দিকে ঠেলে দিয়েছে। তবে বিষয়টা শতভাগ সত্য নয়, কারণ ভারত-চীন সম্পর্ক অনেক বেশি জটিল। আসলে বলা ভালো, এই প্রক্রিয়া ভারত-চীন সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হওয়ার গতি বাড়িয়ে দিয়েছে। এর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্ক ভবিষ্যতে কোন পথে যাবে, তা নিয়ে অনিশ্চয়তাও ভারত-চীন সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হওয়ার একটি কারণ হতে পারে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও