You have reached your daily news limit

Please log in to continue


ইতালির জন্য ভিসা ভোগান্তির শেষ কোথায়?

ইতালি সরকার ঘোষণা করেছে, ২০২৬ থেকে ২০২৮ সালের মধ্যে দেশটিতে ৫ লাখ লোক নেওয়া হবে। এই ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই বাংলাদেশ ও ইতালিতে এক অদৃশ্য ব্যবসা দাঁড়িয়ে গেছে কোটি ডলারের। এর শিকার প্রায় অর্ধলক্ষ মানুষ। ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির ঢাকা সফর স্থগিত হওয়ায় এ সংক্রান্ত কূটনৈতিক সমাধান আরও কয়েক ধাপ পিছিয়ে গেল।

বাংলাদেশে জন্ম নেওয়াটাই যেন পাপ—এটা আমার কথা নয়, ইতালি যেতে চাওয়া এক বাংলাদেশির। লাল চোখ, ঘামে ভেজা শরীর, চামড়া হাড়ে লেগে যাওয়া—সব মিলিয়ে দুশ্চিন্তা আর অনিশ্চয়তায় ভরপুর এক জীবন। তার প্রয়োজন কেবলই একটা পালানোর জায়গা, যেখানে রাতে গভীর ঘুমের আশ্রয় পাওয়া যায়। কিন্তু সেই নিরাপদ আশ্রয় তো নেই। দিন-রাত পাওনাদারের তাড়া, কিস্তির টাকা চাই। যে টাকা দিয়ে তিনি ইতালি যাওয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন, এখন সেটাই ফেরত চাওয়া হচ্ছে।

ইতালি যাওয়ার চেষ্টা করতে গিয়ে ভোগান্তির শিকার যে ভুক্তভোগীর কথা বলছিলাম, তার নাম-ধাম, পরিচয়, বয়স বলতে গেলে প্রায় ৩০ হাজার মানুষের নাম বলতে হবে। এই চিত্র কোনো একক ব্যক্তির নয়; এটি আমাদের রাষ্ট্র ও সমাজের একটি সম্মিলিত ব্যর্থতার প্রতিফলন। শ্রম অভিবাসন আমাদের অর্থনীতির অন্যতম স্তম্ভ, অথচ প্রবাসে যাওয়ার প্রক্রিয়াটাই এখন দালালচক্র ও সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি।

আমরা যখন কোটি কোটি ডলারের রেমিটেন্সের গর্ব করি, তখন ভুলে যাই এই টাকার পেছনে কত মানুষের শ্রম-ঘাম জড়িয়ে আছে। আবার এই টাকা রোজগার করতে যাওয়ার জন্য প্রতারিত কত পরিবার ঋণের বোঝায় ডুবে গেছে। রাষ্ট্র যদি সত্যিকার অর্থে দায়িত্ব নিত, তাহলে প্রবাসে শ্রম বিক্রি করতে যাওয়ার জন্য সাধারণ মানুষকে এভাবে ঠকতে হতো না। বরং বিদেশি সরকারের সঙ্গে স্বচ্ছ চুক্তি, ন্যায্য ব্যয় নির্ধারণ ও দালালবিরোধী কার্যকর পদক্ষেপ নিলে আরও বেশি রেমিটেন্স আয় করা যেত।

ভোগান্তির শিকার এই মানুষগুলোর সঙ্গে আমার প্রায়ই দেখা হয় আন্দোলনের মাঠে—কখনো ইতালি দূতাবাসের সামনে, কখনো ভিএফএসের সামনে। পুলিশ তাদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয়, তারা আবার অন্য রাস্তায় বা পার্কে চলে যায়। এভাবে বছর ঘুরে যায়, কিন্তু সমাধান মেলে না।

আসলেই প্রশ্ন হলো—সমস্যা কোথায়? সমস্যা আছে প্রথমত আমাদের রাষ্ট্রযন্ত্রের গাফিলতিতে। ইতালির মতো দেশে শ্রমবাজার খুলেছে, অথচ বাংলাদেশি কর্মীরা সংগঠিত, নিরাপদ ও বৈধ পথে যেতে পারছে না। কেন? কারণ ভিসা ও কোটার বণ্টনে স্বচ্ছতার অভাব, মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য এবং নীতি-নির্ধারণী স্তরে অদৃশ্য সমঝোতা।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন