
কক্সবাজারে ঘন ঘন বৈরী আবহাওয়ায় উপকূলজুড়ে তীব্র ভাঙন
ঘন ঘন বৈরী আবহাওয়ায় উত্তাল থাকছে বঙ্গোপসাগর। এ সময় সাগরে জোয়ারের পানির উচ্চতা বাড়ে ১ থেকে ৩ ফুট। এর মধ্যে অমাবস্যা ও পূর্ণিমায় জোয়ারের উচ্চতা আর গতিবেগ আরও বাড়ে। প্রতিকূল এই আবহাওয়ায় কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলের কুতুবদিয়া থেকে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে সৈকতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। বিগত বছরগুলোর তুলনায় যা তীব্র।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা প্রতিবছর বাড়ছে। ফলে উপকূলীয় এলাকা জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হচ্ছে। অনেক এলাকায় জরাজীর্ণ ও ভাঙা বেড়িবাঁধ উপচে সাগরের পানি লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে এবং ভাঙন সৃষ্টি করছে।
এ বছর বর্ষা ও মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে সেন্ট মার্টিন দ্বীপ কয়েকবার প্লাবিত হয়েছে। গত ২৭ জুলাই সমুদ্রের ঢেউয়ের আঘাতে দ্বীপের সৈকতসংলগ্ন ১১টি হোটেল-রিসোর্ট ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একই সময়ে মেরিন ড্রাইভ সড়কের অন্তত ১০টি স্থানে ভাঙন ধরেছে। ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়েছে কক্সবাজার শহরের নাজিরারটেকের বিমানবাহিনীর ঘাঁটি, মোটেল শৈবালের স্থাপনা, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম, ট্যুরিস্ট পুলিশের কার্যালয়সহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা।
শৈবাল পয়েন্টে ২৫ বছর ধরে কিটকটের (চেয়ার-ছাতা) ব্যবসা করা আবদুল কুদ্দুস বলেন, ‘এক যুগ ধরে সৈকতে ভাঙনের তীব্রতা বেড়েছে। এর মধ্যে প্রায় আধা কিলোমিটার সৈকতের তীর বিলীন হয়েছে। এ বছর শৈবালের পুরো ঝাউবন উজাড় হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।’
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কক্সবাজার কার্যালয়ের তথ্য মতে, কুতুবদিয়া উপজেলার আলী আকবর ডেইল, কৈয়ারবিল ও উত্তর ধরং ইউনিয়নের ২২টি স্থানে ৪ হাজার ৫১৯ মিটার, মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী এবং ধলঘাটা ইউনিয়নের সাইট পাড়া ও সরইতলী এলাকায় ২ হাজার ৮৮ মিটির, টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ ও দক্ষিণ পাড়ায় ১ হাজার ৪২৫ মিটার, কক্সবাজার সদর উপজেলার সমুদ্রসৈকত, পশ্চিম পাড়া, চৌধুরী পাড়াসহ পাঁচটি স্থানে ২ হাজার ৬৫০ মিটার বেড়িবাঁধ ভাঙনে বিলীন হয়েছে।
- ট্যাগ:
- বাংলাদেশ
- ভাঙন
- উপকূল
- বৈরী আবহাওয়া