
দুর্বল ব্যাংকে আমানত রেখে বিপদে ইপিবি
দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে রপ্তানি খাতের ভূমিকা সূদৃঢ় করতে কাজ করে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)। তবে বিগত সরকারের ঘনিষ্ঠ এস আলম গ্রুপ এবং আওয়ামী লীগসমর্থিত আরও কয়েকজন রাজনীতিবিদের নিয়ন্ত্রিত ব্যাংকে টাকা রেখে এখন নিজেরাই আর্থিক চাপে পড়েছে প্রতিষ্ঠানটি। বারবার তাগাদা দিয়েও অনিয়ম ও দুর্নীতিতে দুর্বল হয়ে পড়া ওইসব ব্যাংক থেকে এখন নিজস্ব তহবিলের টাকা উঠাতে পারছে না খোদ সরকারি সংস্থাটি।
সূত্র জানিয়েছে, ইপিবির ১৭৯ কোটি ৭২ লাখ ২২ হাজার ৯৬১ টাকা আটকে আছে নয়টি বেসরকারি ব্যাংক ও সরকারি একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে। এসব প্রতিষ্ঠানে বারবার তাগাদা দেওয়ার পরেও উদ্ধার হচ্ছে না। সেসব প্রতিষ্ঠান হলো ইউনিয়ন ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, আইসিবি ইসলামী ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক ও পদ্মা ব্যাংক এবং সরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি)।
এসব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দুটি ছাড়া অন্যগুলো অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে দুর্বল হয়ে পড়েছে। বিগত সরকারের আমলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণহীন ছিল এসব প্রতিষ্ঠান। সেগুলো পরিচালিত হতো এস আলম এবং সরকারের অন্যান্য বড় বড় মন্ত্রী ও আস্থাভাজনদের দিয়ে।
ইপিবি তিনটি তহবিলে ৫৯টি এককালীন স্থায়ী আমানত (এফডিআর) করেছে ওই ১০ প্রতিষ্ঠানে। তহবিল তিনটি হলো, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো প্রশাসনিক তহবিল, রপ্তানি বাজার উন্নয়ন তহবিল ও ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার তহবিল। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ১৭টি এফডিআরের মাধ্যমে ৪৬ কোটি ৯৮ লাখ ৩১ হাজার ৪৯৬ টাকা আটকে আছে ইউনিয়ন ব্যাংকের সাতটি শাখায়।