
জাতীয় নির্বাচন আয়োজন সরকারের জন্য কতটা চ্যালেঞ্জ
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের যে প্রতিশ্রুতি প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস দিয়েছেন, সে আলোকে ‘আয়নার মতো’ স্বচ্ছ নির্বাচন করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
তবে, স্বচ্ছ নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকারের ‘চ্যালেঞ্জের’ দিকটিও সামনে আনছেন সংশ্লিষ্টরা।
এর মধ্যে মোটাদাগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক করা, সেই সাথে শেখ হাসিনা সরকারের আমলে ভোটারদের ‘নষ্ট হওয়া’ আস্থা ফিরিয়ে আনা অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন তারা।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিরোধিতা করে নতুন সংবিধান লিখতে নতুন করে গণপরিষদ নির্বাচনের দাবি সামনে এনেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি।
এর বাইরে জামায়াতে ইসলামী প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে নির্বাচন দাবি করেছে। যার ফলে কিছু বিড়ম্বনা তৈরি হতে পারে নির্বাচন আয়োজন নিয়ে।
এর আগে অভ্যুত্থানের মতো পরিস্থিতি না হলেও এক-এগারোর সেনা সমর্থিত সরকারের সময় জরুরি অবস্থায় প্রায় দুই বছর পর নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়েছিল। তখন দুই বড় দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সঙ্গে দেনবার করাসহ নানা চ্যালেঞ্জ উৎরে নির্বাচন করেছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার।
এবার অন্তর্বর্তী সরকারের সময় নির্বাচন আয়োজনের সময় নিয়ে ‘দোদুল্যামানতা’ ও উত্তাপ তৈরি হলেও লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের বৈঠকের’ পর তা কেটে যায়।
জুলাই অভ্যুত্থান দিবসে গেল ৫ অগাস্ট জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা আাগামী ফেব্রুয়ারিতে রোজার আগে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণা দেন, যা লন্ডন বৈঠকের যৌথ ঘোষণায় এসেছিল।