
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বদলে দিচ্ছে মহাজাগতিক ঘটনা আবিষ্কারের ধরন
বহুকাল ধরে বিজ্ঞানীরা টেলিস্কোপে চোখ রেখে মহাকাশ পর্যবেক্ষণ করেছেন। গত শতাব্দীতে বিভিন্ন টেলিস্কোপ মহাকাশে স্থাপন করা হলে মহাজাগতিক অনুসন্ধানে নতুন চমক তৈরি হয়। নতুন নতুন চমক আসলে আবিষ্কারের গতি ছিল বেশ ধীর। কয়েক বছর ধরে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) বিভিন্ন টুলস ব্যবহারের কারণে মহাজাগতিক ঘটনা ও বস্তু আবিষ্কারে নানা ধরনের চমক দেখা যাচ্ছে। দ্রুতগতিতে অনেক তথ্য বিশ্লেষণ করার সুযোগ বাড়ছে। অস্বাভাবিক সব মহাজাগতিক ঘটনা তাৎক্ষণিকভাবে শনাক্ত করার জন্য তৈরি বিশেষ ধরনের এআই টুল ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে নক্ষত্রের বিস্ফোরণের মতো অনেক দূরের ঘটনা শনাক্ত করা যাচ্ছে সহজেই। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা একটি কৃষ্ণগহ্বরের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়া করার সময় একটি বিশাল নক্ষত্রের বিস্ফোরণের প্রথম পরিচিত ঘটনা রেকর্ড করেছেন। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে সম্ভাব্যভাবে সম্পূর্ণ নতুন শ্রেণির নক্ষত্র বিস্ফোরণ আবিষ্কারের তথ্য পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
এসএন ২০২৩ জেকেডি নামের নক্ষত্রটি প্রথম ২০২৩ সালের জুলাই মাসে ক্যালিফোর্নিয়ায় জুইকি ট্রানজিয়েন্টে পর্যবেক্ষণ করা হয়। প্রায় ৭৩ কোটি আলোকবর্ষ দূরে ন্যূনতম নক্ষত্র গঠনের কার্যকলাপসহ একটি ছায়াপথে এই নক্ষত্রের অস্বাভাবিক মহাজাগতিক ঘটনা তাৎক্ষণিকভাবে শনাক্ত করেন বিজ্ঞানীরা। বিশেষভাবে ডিজাইন করা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা টুলস ব্যবহার করে একে শনাক্ত করা হয়।
বিজ্ঞানীরা জানান, প্রাথমিক একটি তথ্যের মাধ্যমে মহাকাশ ও বিশ্বজুড়ে রাখা বিভিন্ন টেলিস্কোপ বিস্ফোরণ পর্যবেক্ষণ শুরু করে। প্রাথমিক পর্যায়ে ঘটনাটি ধারণ করে। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিদ্যার সহযোগী অধ্যাপক অ্যাশলে ভিলার বলেন, বিস্ফোরণের আগে একটি বিশাল নক্ষত্রের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়ার কিছু স্পষ্ট লক্ষণ দেখা যায়। আমরা মনে করি এটি লুকানো বিস্ফোরণের একটি সম্পূর্ণ ভিন্ন শ্রেণির অংশ হতে পারে। এআই আমাদের এই বিশেষ বিস্ফোরণ আবিষ্কার করতে সাহায্য করছে।