সেই ভয়াবহ বিকেলের এক সপ্তাহ পর গত ২৮ জুলাই আবার গিয়েছিলাম ওই ‘বধ্যভূমিতে’। দেখলাম, অভিভাবকেরা তাঁদের সন্তানদের ফেলে যাওয়া স্কুলব্যাগ সংগ্রহ করছেন। ব্যাগগুলো একতলা এক ভবনের একটি ঘরে সারি করে রাখা। ব্যাগের স্তূপটা যেন এক কষ্টের ভাস্কর্য হয়ে আমাদের ব্যর্থতাকে দেখিয়ে দিচ্ছিল।
প্রতিটি ব্যাগের গায়ে এক টুকরা কাগজে ছাত্রের নাম, রোল, শ্রেণি ও শাখা লেখা ছিল। প্রতিটি ব্যাগ যেন একেকটি কাহিনির প্রতীক।
এর মধ্যে একটি কালো ব্যাগে গিয়ে আমার চোখ থেমে গেল। আগুনে পুরোপুরি ঝলসে যাওয়া সেই ব্যাগ অন্যগুলোর থেকে আলাদা। ভাগ্যিস ব্যাগগুলো কথা বলতে পারে না!
যাঁরা কথা বলতে পারেন, তাঁরাও যেন কেমন চুপচাপ হয়ে গেছেন। মন খুলে দূরে থাক, এমনি দু-একটি কথা বলতেও তাঁদের মন টানে না। নিজেদের একধরনের নীরবতার চাদরে ঢেকে দিয়েছেন।