
খাতিরের ঠিকাদারকে কাজ দিতে ডিএনসিসির দরপত্রে ‘কারসাজি’
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) বাতি স্থাপনের কাজ ‘খাতিরের’ ঠিকাদারকে দিতে দরপত্রে কারসাজির অভিযোগ উঠেছে।
দরপত্র জমাদানের সময় শেষ হওয়ার মাত্র তিন দিন আগে শর্ত বদলানো হয়। পরে দরপত্র জমার সময় বাড়ানো হয়। শর্ত বদলানোর ক্ষেত্রে কারিগরি কমিটির অনুমোদন নেওয়া হয়নি।
ঢাকার রামপুরা সেতু থেকে কুড়িল মোড় পর্যন্ত সড়কের অংশে বসানোর জন্য খুঁটি, সড়কবাতি (স্মার্ট এলইডি লাইট) ও অন্যান্য বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম কিনতে গত ১ জুন এই দরপত্র ডাকা হয়েছিল।
দরপত্রে সর্বনিম্ন দর আসে ৭ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। যদিও ঢাকা ওয়াসার অর্থায়নের এই কাজের প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয় ৯ কোটি টাকার বেশি।
সবচেয়ে কম দরদাতা প্রতিষ্ঠানের নাম মেসার্স জেএপি ট্রেডিং। প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে ডিএনসিসির প্রকৌশল বিভাগের বিদ্যুৎ শাখার নির্বাহী প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দায়িত্ব) সাইফুল ইসলামের যোগসাজশের অভিযোগ উঠেছে।
জানতে চাইলে সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, দরপত্রের শর্তে বড় কোনো পরিবর্তন হয়নি। কারিগরি কমিটির অনুমোদন ছাড়া এসব শর্তে পরিবর্তন আনা হলেও তাতে কর্তৃপক্ষের সম্মতি রয়েছে।
ঠিকাদারের সঙ্গে খাতির-যোগসাজশের অভিযোগ অস্বীকার করেন সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, দরপত্রের শর্ত পরিবর্তন না করলে প্রতিযোগিতা কম হতো, ডিএনসিসির খরচ বেড়ে যেত।
যদিও একজন সরকারি ক্রয় বিশেষজ্ঞ বলছেন, এভাবে শর্ত পরিবর্তনের সুযোগ নেই। দরপত্র জমাদানের সময় শেষ হওয়ার মাত্র তিন দিন আগে শর্ত বদল করাটা সন্দেহজনক।