নির্বাচনের আগে সংস্কার, বিচার ও প্রশাসনের নিরপেক্ষতার প্রতিশ্রুতি চায় এনসিপি

ডেইলি স্টার প্রকাশিত: ০৬ আগস্ট ২০২৫, ১৩:৫৪

প্রধান উপদেষ্টার উপস্থাপন করা জুলাই ঘোষণাপত্র 'পরিপূর্ণ' হয়নি এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আজও জুলাই শহীদের প্রকৃত সংখ্যা নির্ণয় করতে 'ব্যর্থ' বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন।


আজ বুধবার দুপুরে জুলাই ঘোষণাপত্র ও প্রধান উপদেষ্টার ভাষণের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে দলীয় সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।


রাজধানীর বাংলামোটরের রূপায়ন টাওয়ারে এনসিপির অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনে আখতার হোসেন বলেন, 'জুলাই ঘোষণাপত্রে জুলাইয়ের শহীদদের "জাতীয় বীর" হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে; জুলাইয়ের আন্দোলনকারী, শহীদ পরিবার ও আহতদের আইনি সুরক্ষা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করা হয়েছে। এই ঘোষণাপত্রের মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর তরফে আবারো প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করা হয়েছে যে, বাংলাদেশে একটি বৈষম্যহীন, দুর্নীতিমুক্ত, ফ্যাসিবাদমুক্ত রাষ্ট্রকাঠামো আমরা পাবো।'


তিনি বলেন, 'একইসঙ্গে, এই ঘোষণাপত্রের আরও পরিপূর্ণতার জন্য আমরা দীর্ঘ সময় ধরে সরকারের কাছে যে দাবিগুলো জানিয়ে এসেছিলাম, তার কিছু বিষয় অনুপস্থিত রয়ে গেছে।'


জুলাই ঘোষণাপত্রে এই ভূখণ্ডের '৪৭-এর আন্দোলন উল্লেখ নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'এই ঘোষণাপত্রে শহীদের সংখ্যার ব্যাপারে "প্রায় এক হাজার" শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে। অথচ জাতিসংঘের প্রতিবেদনেই বলা হয়েছে এক হাজার ৪০০ জনের কথা। গত এক বছরে সরকার শহীদদের প্রকৃত সংখ্যা নির্ণয় করতে ব্যর্থ হয়েছে।'


পিলখানা হত্যাকাণ্ড, শাপলা গণহত্যা, বিচারিক হত্যাকাণ্ড, ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন, নিরাপদ সড়ক আন্দোলন, আবরার ফাহাদের ভারতের আগ্রাসনবিরোধী আন্দোলন, মোদিবিরোধী আন্দোলনের কথা এই ঘোষণাপত্রে উল্লেখ থাকলে ঘোষণাপত্র পরিপূর্ণ হতে পারতো বলে মনে করে এনসিপি।


আখতার বলেন, 'সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টা আমাদের কাছে মনে হয়েছে, এই ঘোষণাপত্রের ২৫ ও ২৭ নম্বর পয়েন্টে, নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নির্বাচিত সরকারের সংস্কারকৃত সংবিধানে তফসিলে এই ঘোষণাপত্রকে উল্লেখ করার কথা বলা হয়েছে। আমরা এনসিপি দীর্ঘ সময় ধরে বাংলাদেশে একটি নতুন সংবিধানের দাবি জানিয়ে আসছি। সে লক্ষ্যে গণপরিষদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নতুন সংবিধান পুনর্লিখনের দাবি আমরা সরকারের কাছে করে এসেছি।'


তিনি বলেন, 'ঐকমত্য কমিশনে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংস্কারের বিভিন্ন বিষয়বস্তুতে ঐকমতৗ তৈরি হয়েছে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত সেখানে বাস্তবায়নের পথ কি হবে, তা নিয়ে আলোচনা করা হয়নি। যখন এই ঘোষণাপত্রকে পরবর্তী সংস্কারকৃত সংবিধানের ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়, তখন আমাদের যে নতুন সংবিধানের দাবি, তাকে পাশ কাটিয়ে যাওয়া হয়।'

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও