
খুঁড়িয়ে চলছে বিদ্যুৎকেন্দ্র, বাড়ছে কয়লার স্তূপ
খুঁড়িয়ে চলছে দেশের অন্যতম তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র বড়পুকুরিয়া। চালুর পর থেকে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে কখনোই এ বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে পূর্ণ লক্ষ্যমাত্রার বিদ্যুৎ পাওয়া যায়নি। তিনটি ইউনিটের মধ্যে কখনো একটি, কখনোবা দুটি থেকে বিদ্যুৎ পাওয়া গেছে। বর্তমানে নষ্ট হয়ে পড়ে রয়েছে দুটি ইউনিট। ফলে রংপুর বিভাগের ৮টি জেলায় লোডশেডিং বেড়েছে। এদিকে খনি থেকে উত্তোলন করা কয়লা ব্যবহার করতে না পারায় জমছে স্তূপ। সৃষ্টি হয়েছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি।
২০০৬ সালে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির উৎপাদিত কয়লার ওপর নির্ভর করে বড়পুকুরিয়া ৫২৫ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রেটি নির্মাণ করা হয়। কেন্দ্রটিতে ৩টি ইউনিটের মধ্যে প্রথম দুটি ১২৫ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন এবং তৃতীয় ইউনিটটি ২৭৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন। তৃতীয় ইউনিটটি ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে উৎপাদনে আসে। বিদুৎকেন্দ্রটি পরিচালনা করে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ৫২৫ মেগাওয়াট বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের তিনটি ইউনিট কখনোই একসঙ্গে চালানো সম্ভব হয়নি। তিনটি ইউনিটের মধ্যে দ্বিতীয়টি যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ২০২০ সালের নভেম্বর থেকে পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দীর্ঘ সময় ধরে দ্বিতীয় ইউনিটটি বন্ধ থাকায় যন্ত্রপাতি অকেজো হয়ে পড়ছে। ভবিষ্যতে এই ইউনিটটি চালু করা সম্ভব হবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।
২০২০ সালের পর সচল ছিল ১ নম্বর ও ৩ নম্বর ইউনিট, যা থেকে প্রায় ২৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়ে জাতীয় গ্রিডে যোগ করা হতো। গত ৩০ জুলাই বয়লারের পাইপ ফেটে ১ নম্বর ইউনিটের উৎপাদন কার্যক্রমও বন্ধ হয়ে যায়। ১২৫ মেগাওয়াট সম্পন্ন এই ইউনিট থেকে প্রতিদিন ৬০-৬৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হতো। বর্তমানে শুধু বিদ্যুৎকেন্দ্রের তৃতীয় ইউনিটটি চালু রয়েছে। ২৭৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন এই ইউনিট থেকে ১৬০-১৭০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়ে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে।