
মাইলস্টোনের শিক্ষার্থীদের ‘ট্রমা’ কাটবে কী করে
মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী লামহা ক্যাম্পাসে এসেই দেখা পায় সহপাঠী নাইলাতের। দুই বন্ধুর রাজ্যের যত আলাপ, চিৎকার, দৌড়াদৌড়ি; পাশে বসে দেখছিলেন তাদের মায়েরা।
কেমন আছ জিজ্ঞেস করতেই এক শিশুর সহজ উত্তর, “ভালো আছি।”
স্কুল প্রাঙ্গণে উচ্ছ্বসিত শিশুদের এমন চিত্রই চিরায়ত। কিন্তু মাইলস্টেনের পরিস্থিতি গত কিছুদিন ধরেই অন্যরকম।
অভিভাবকরা বলছেন, সহপাঠীকে পেয়ে যতই ‘ভালো আছি’ বলুক, লামহা-নাইলাতরা আসলে ‘ভালো নেই’।
লামহার মা নাজনীন নীলা বললেন, মঙ্গলবার যখন স্কুলের গেট দিয়ে তারা ঢুকছিলেন, মেয়ে তার কাছে জানতে চাইল, “আম্মু আমরা কি আবার স্কুলে আসব?”
জবাবে ‘হ্যাঁ’ বলতেই লামহার পাল্টা প্রশ্ন: “প্লেনটা কি আবার পড়বে?”
প্রশ্নেই বোঝা যায়, দিন দশেক আগে নিজের স্কুলে বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনাটি তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে এই শিশুকে।
নীলা বলেন, “রাতে আমার হাত ধরে থাকছে। ও আমার ওড়না দিয়ে নিজের হাত বেঁধে রাখছে। বলছে, ‘আম্মু তুমি আমাকে ছেড়ে যেও না’।”
বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার দিন পোড়া শরীর নিয়ে কয়েকটি শিশুর ছুটোছুটির ভিডিও ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
- ট্যাগ:
- বাংলাদেশ
- বিমান বিধ্বস্ত
- ট্রমাটাইজড