শিকার ও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ পাচারের ঝুঁকিতে সুন্দরবনের বাঘ

বিডি নিউজ ২৪ সুন্দরবন প্রকাশিত: ২৯ জুলাই ২০২৫, ০৮:৫৮

আন্তর্জাতিক পাচারচক্রের কাছে বন্যপ্রাণীর অন্যতম কেন্দ্র হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ।


মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক প্রতিবেদনের বরাতে বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া বন্যপ্রাণীদের একটি বড় অংশের উৎস সুন্দরবন ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকা। পাচার হওয়া বন্যপ্রাণীদের তালিকায় রয়েছে বাঘ, কুমির, হরিণ, সাপ, তক্ষক, কচ্ছপ ও হাঙ্গর।


চীন ও পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে বাঘের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের চাহিদা থাকায় সুন্দরবন থেকে বাঘের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বন্যপ্রাণী পাচার চোরাচালানকারীদের বেশ লক্ষ্য রয়েছে।


সুন্দরবন অ্যাকাডেমির নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক আনোয়ারুল কাদির বলেন, “আন্তর্জাতিক বাজারে বাঘের চামড়া, হাড়, দাঁতসহ অন্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। সে কারণে চোরাশিকারিরা দীর্ঘদিন ধরে সুন্দরবনের বাঘ শিকার করছে। বনদস্যুরাও এখন সুন্দরবনের বন্যপ্রাণীও শিকার করছে।


“সুন্দরবনের পরিবেশ ও প্রকৃতি বাঘের টিকে থাকার জন্য খুবই কঠিন। নোনা পানি, ঝড়-জলোচ্ছ্বাস নিয়মিত ঘটনা। আমাদের উচিত, সুন্দরবনে বাঘের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করা। বাঘের বিচরণক্ষেত্রগুলোতে হরিণের সংখ্যা কমে যাওয়ায় মাঝে-মধ্যে বাঘের খাদ্য সংকট দেখা দেয়। এ কারণে বাঘ নদী-খাল পেরিয়ে লোকালয়ে চলে আসে। গ্রামবাসী তখন পিটিয়ে বাঘ হত্যা করে।”


জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের গবেষণায় বলা হয়েছে, পৃথিবীতে বাঘের মোট নয়টি উপপ্রজাতি ছিল। গত শতাব্দীতে তিনটি উপপ্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে গেছে। বাকিগুলোর মধ্যে সুন্দরবনের বাঘ স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যের। দুই হাজার ৬০০ বছর ধরে এই বাঘ সুন্দরবনসহ বাংলাদেশ ও ভারতের উপকূলীয় এলাকায় টিকে আছে।


তবে বাংলাদেশের বাঘ সংরক্ষণে যারা কাজ করছেন তারা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তন ও মনুষ্যসৃষ্ট সমস্যার কারণে বাংলাদেশে বাঘের সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক আবাসস্থল সুন্দরবন নিজেই এখন হুমকিতে। অবৈধ শিকারের কারণে বাংলাদেশের বাঘ এখনো বড় ধরনের ঝুঁকিতে।


সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও