
পুলিশ নিয়ে বাসায়, হুমকি দিয়ে ১০ লাখ টাকা নেন বৈষম্যবিরোধী নেতারা
রাজধানীর গুলশানে একজন সাবেক সংসদ সদস্যের বাসায় গিয়ে সমন্বয়ক পরিচয়ে ১০ লাখ টাকা চাঁদা নেওয়ার অভিযোগে পাঁচ যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। ১০ লাখ টাকা চাঁদা নেওয়ার আগে সেখানে পুলিশ নিয়ে যান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কয়েকজন নেতা। ওই নেতাদের মধ্যে সংগঠনটির সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুর রাজ্জাক বিন সোলাইমান ওরফে রিয়াদও ছিলেন।
গুলশানের বাসাটিতে পলাতক আসামিরা আছেন, এমন তথ্য দিয়ে ১৭ জুলাই ওই বাসায় পুলিশ নিয়ে যান রিয়াদসহ কয়েকজন নেতা। তখন তারা নিজেদের সমন্বয়ক পরিচয় দিয়েছিলেন। তবে সেদিন ওই বাসায় কোনো পলাতক আসামিকে না পাওয়ায় পুলিশ সদস্যরা ফিরে যান। তখন সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের স্বামী অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী সিদ্দিক আবু জাফরকে মামলায় জড়ানো ও গ্রেফতারের হুমকি দিয়ে ১০ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ওই নেতারা।
পুলিশ ও ভুক্তভোগী পরিবারের একাধিক সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
মূলত আতঙ্ক তৈরি করতেই পুলিশ সদস্যদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে ওই বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এর মাধ্যমে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ওই নেতারা নিজেদের ক্ষমতা দেখান। ভুক্তভোগীও এতে ঘাবড়ে যান এবং ১০ লাখ টাকা চাঁদা দিয়ে দেন। এরপর আরও ৪০ লাখ টাকা নিতে দুই দফায় বাসায় যান তারা। আবার মুঠোফোনেও চাঁদা দাবি করে শাম্মী আহমেদের স্বামী সিদ্দিক আবু জাফরকে হুমকি দেওয়া হয়।