পাঁচ শহীদের দায়ভার

প্রথম আলো প্রকাশিত: ২৬ জুলাই ২০২৫, ১০:১৩

‘মা, আমি মিছিলে যাচ্ছি।...আমি যদি বেঁচে না ফিরি, তবে কষ্ট না পেয়ে গর্বিত হয়ো। জীবনের প্রতিটি ভুলের জন্য ক্ষমা চাই।’ এই তো ছিল ৫ আগস্ট, রাজধানীর চানখাঁরপুলে শহীদ হওয়া আমাদের দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছোট্ট শাহারিয়ার খান আনাসের চিঠি। বাবা-মায়ের উদ্দেশে লেখা শেষবিদায়ের চিঠি!


বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গণ–অভ্যুত্থানের ইতিহাস বইপুস্তকে পড়েছি। মুরব্বিদের কাছ থেকে ’৬৯ আর ’৯০–এর গল্প শুনেছি। তবে ২০২৪ সালে সামনে থেকে গণ–অভ্যুত্থান ঘটতে দেখেছি। অংশ নেওয়ারও সুযোগ পেয়েছি। ১৭ বছরের এক দীর্ঘ সংগ্রামের স্ফুলিঙ্গগুলো যেন দাবানলে রূপ নিয়েছিল চব্বিশের জুলাই-আগস্টে।


এই সংগ্রামের অভিজ্ঞতা থেকে উপলব্ধি করতে পারি, কোনো গণ–অভ্যুত্থান একক নেতৃত্ব কিংবা কৃতিত্বের মধ্য দিয়ে হয় না। গণ–অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীরা একে অপরের সাহস হয়ে ওঠে। চব্বিশে যখন ছাত্র-জনতার রক্ত ঝরল, তখন কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, শিক্ষক, আইনজীবী, বুদ্ধিজীবী, রিকশাচালক, গৃহিণী, প্রবাসী শ্রমিক, পথশিশু, সাংস্কৃতিক কর্মী ও সামগ্রিক রাজনৈতিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা একে অপরের সাহস হয়ে প্রতিবাদে নেমে পড়েন। তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাহিনীর লোকজনকে বলতে শোনা যায়, ‘স্যার, একটা মরলে একটাই যায়, তার সাথে থাকা অন্যরা যায় না।’ এমনটাই তো ছিল আমাদের চব্বিশের ঐতিহাসিক গণ–অভ্যুত্থানের বীরত্বের গল্প।


৫ আগস্ট ২০২৪ গণঅভ্যুত্থানে যাওয়ার আগে শহীদ আনাসের লেখা চিঠি।


চব্বিশের চেতনা অপশাসন, স্বৈরশাসন ও মানুষের মুখ চেপে ধরার বিরুদ্ধে এক দীর্ঘ আপসহীন সংগ্রাম। গণ–অভ্যুত্থানের এই চেতনাকে অবশ্যই আমাদের ধারণ করতে হবে। এই চেতনাকে তখনই ধারণ করা হবে, যখন এই সংগ্রামের সামগ্রিক শক্তিগুলো পারস্পরিক শ্রদ্ধা, স্নেহ, বিশ্বাস ও সহনশীলতা দেখিয়ে রাষ্ট্রের স্বার্থে সবাই এক ও ঐক্যবদ্ধ থেকে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে সমুন্নত রাখা যাবে। যদিও মুক্তিযুদ্ধ–পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের ইতিহাসকে যেভাবে কুক্ষিগত ও বিকৃত করা হয়েছিল, চব্বিশের গণ–অভ্যুত্থানের ইতিহাসের ক্ষেত্রেও সে রকম নানা অপচেষ্টা আমরা দেখছি। আওয়ামী লীগের দীর্ঘ অপশাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করা বিভিন্ন রাজনৈতিক দল অপতথ্য ও প্রচারণার শিকার।


যে রাজনৈতিক অপসংস্কৃতির বিরুদ্ধে দীর্ঘ লড়াই করে আমরা শেখ হাসিনার স্বৈরশাসনকে হটিয়েছি, গত এক বছরে সেই অপসংস্কৃতিকে কি আমরা রুখতে পেরেছি? আমরা কি পেরেছি দুর্নীতি বন্ধ করতে? আমরা কি পেরেছি যাঁদের রক্তের বিনিময়ে আজ আমরা মুক্ত, সেসব শহীদ এবং তাঁদের পরিবারের প্রতি ইনসাফ করতে? আমরা কি পেরেছি আন্দোলনে চিরজীবনের জন্য অঙ্গহানি হয়ে যাওয়া বীর যোদ্ধাদের পাশে থেকে সান্ত্বনা দিতে? আমরা কি পেরেছি দীর্ঘ সময়ের মজলুম শক্তিগুলোর পারস্পরিক কাদা-ছোড়াছুড়ি বন্ধ করতে? নৃশংসভাবে মানুষ হত্যায় জড়িত আওয়ামী সন্ত্রাসীদের আইনের আশ্রয়ে আনতে? প্রতিটি প্রশ্নেরই উত্তর—না।


সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও