
মাছের তেল না খেয়ে ভুল করছেন না তো? জেনে নিন এর ১১টি উপকারিতা
উদ্ভিজ্জ ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের তুলনায় মাছের তেল থেকে পাওয়া ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের উপকারিতা অনেক বেশি। মাছের তেলের দুটি প্রধান ধরনের ওমেগা-৩ হলো আইকোসাপেন্টায়েনোয়িক অ্যাসিড (ইপিএ) এবং ডোকোসাহেক্সায়েনোয়িক অ্যাসিড (ডিএইচএ)। আর উদ্ভিজ্জ ওমেগা-৩ মূলত আলফা-লাইনোলেনিক অ্যাসিড (এএলএ)। খাবারের সঙ্গে আমরা অনেক সময় অজান্তেই ওমেগা-৩–এর বদলে ক্ষতিকর চর্বি গ্রহণ করি, যা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। জেনে নিন মাছের তেলের ১১টি উপকারিতা।
১. হৃৎপিণ্ড সুস্থ রাখে
গবেষণায় দেখা গেছে, যাঁরা প্রচুর মাছ খান, তাঁদের হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক কম। মাছ বা মাছের তেল হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমায়। মাছের তেল কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইড ও রক্তচাপ কমাতে কার্যকর। এ ছাড়া ধমনি অনমনীয় করে, এমন প্লাক তৈরি রোধ করে।
কিছু গবেষণা থেকে অনুমান করা হয়, ওমেগা-৩ হৃদ্রোগের তীব্রতা এবং হৃদ্রোগে মৃত্যুহার কমাতে সহায়ক। স্ট্রোক প্রতিরোধ বা স্ট্রোক থেকে মৃত্যুর হার কমানোর সঙ্গে ওমেগা-৩–এর কোনো সম্পর্ক আছে কি না, সে ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার জন্য আরও গবেষণা প্রয়োজন।
২. মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখে
তরল ছাড়া মস্তিষ্কের ওজন নিলে এতে প্রায় ২০ শতাংশ পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া যায়। যার মধ্যে ওমেগা-৩ অন্তর্ভুক্ত। অতএব মস্তিষ্কের স্বাভাবিক কার্যক্রমের জন্য ওমেগা-৩ অপরিহার্য। কিছু নির্ভরযোগ্য গবেষণায় দেখা গেছে, নির্দিষ্ট কিছু মানসিক রোগে আক্রান্ত রোগীদের রক্তে ওমেগা-৩–এর মাত্রা কম থাকে। বেশি পরিমাণে ওমেগা-৩ গ্রহণ বিষণ্নতার মতো কিছু মানসিক সমস্যার লক্ষণগুলোর সূত্রপাত রোধ করতে বা সারিয়ে তুলতে সাহায্য করতে পারে।
৩. চোখ ভালো রাখে
যাঁরা পর্যাপ্ত পরিমাণে ওমেগা-৩ গ্রহণ করেন না, তাঁদের চোখের সমস্যার ঝুঁকি বেশি। এ ছাড়া বৃদ্ধ বয়সে দৃষ্টিশক্তির অবনতি হতে শুরু করে, যার অন্যতম কারণ এজ রিলেটেড ম্যাকুলার ডিজেনারেশন (এএমডি)। মাছ খেলে এএমডির ঝুঁকি কমতে পারে।
- ট্যাগ:
- স্বাস্থ্য
- স্বাস্থ্য উপকারিতা
- মাছের তেল