
পাকিস্তানের অভিযোগের সঙ্গে একমত নয় বাংলাদেশ
ব্যাটারদের বধ্যভূমি হিসেবে মিরপুরের উইকেটের পরিচিতি অনেক আগেই। রানের চাকা সচল রাখতে ব্যাটাররা যখন চড়াও হয়ে খেলেন, তখনই টপাটপ উইকেট পড়তে থাকে। বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে গতকাল সব মিলিয়ে ২৫০ রান না হলেও পড়েছে ১৩ উইকেট।
টস জিতে আগে বোলিং নিয়ে অর্ধেক কাজ যেন আগেই সেরে রাখেন বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাস। বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ১৯.৩ ওভারে ১১০ রানে গুটিয়ে যায় পাকিস্তান। সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ ১৫.৩ ওভারে ৭ উইকেটে ১১২ রান করে ফেলে। হারের পর পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আলী আঘা, সাদা বলের কোচ মাইক হেসন—দুজনই মিরপুরের উইকেট নিয়ে অভিযোগ করেন। তবে তাঁদের (সালমান-হেসন) সঙ্গে একমত নন বাংলাদেশের ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে ইমন বলেন, ‘মিরপুরের উইকেটে বোলারদের একটু সহায়তা থাকে, এটা স্বাভাবিক। আমাদের পরিকল্পনা ছিল যত দ্রুত সম্ভব উইকেট বুঝে সেট হয়ে যাওয়া। আমরা ১৬ ওভারে ১১০ রান করেছি। যদি ২০ ওভার ব্যাট করতাম, ১৬০ রান হতে পারত। তাই আমার কাছে মনে হয়নি যে উইকেট খারাপ ছিল।’
২৭ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটের জয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন ইমন। ৩৯ বলে ৩ চার ও ৫ ছক্কায় ৫৬ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। যেখানে বাংলাদেশ ৭ রানে ২ উইকেট হারানোর পর তাওহিদ হৃদয় ও ইমন হাল ধরেছেন। তৃতীয় উইকেটে ৬২ বলে ৭৩ রানের জুটি গড়তে অবদান রেখেছেন হৃদয়-ইমন। তাতেই ম্যাচ জয়ের পথে অনেকটা এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। ইমন বলেন, ‘হয়তো তারা (পাকিস্তান) মানিয়ে নিতে পারেনি, কিন্তু আমরা চেষ্টা করেছি দ্রুত উইকেট বুঝে নেওয়ার। দুটো উইকেট আগেভাগে পড়তেই পারে। কিন্তু বাকিরা সেটা সামলে নিয়েছে। উইকেটে সম বাউন্সই ছিল, তবে হ্যাঁ, দু-একটা অসম বাউন্স ছিল। এটা হতেই পারে। বোলারদের স্পাইকে উইকেটের ভাঙা জায়গায় পড়লে কিছু বল এদিক-সেদিক যাবেই।’