বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন গণতান্ত্রিক দেশে ডানপন্থী জনতুষ্টিবাদী দলগুলোর মধ্যে একটি আন্তর্জাতিক জোট হতে পারে বলে এত দিন যে কথা শোনা যাচ্ছিল, তা মূলত জল্পনাপর্যায়ের বিষয় ছিল। আগে ডানপন্থীরা নিজেদের মধ্যে যেটুকু সহযোগিতা দেখাত, তা আসলে ছিল নিজেদের প্রচারের কৌশল। সেগুলোকে সত্যিকার সহমর্মিতা বলা যাবে না। কারণ, এক দেশের ডানপন্থী নেতা অন্য দেশের কোনো মিত্র নেতার জন্য বড় কোনো ত্যাগ স্বীকার করেছেন বা তাঁদের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করেছেন, এমনটি খুব কম ক্ষেত্রেই দেখা গেছে।
কিন্তু এখন এই চিত্র বদলাতে পারে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আচরণ সে ধরনের ইঙ্গিত দিচ্ছে। ট্রাম্প সম্প্রতি ব্রাজিলের ডানপন্থী সাবেক প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারোকে রক্ষা করার জন্য ব্রাজিলে ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন। এটিকে তাঁর নতুন ধরনের কৌশল বলা যায়।
আরও বড় ব্যাপার হলো ‘মতপ্রকাশের স্বাধীনতা’র নামে ট্রাম্প এখন বিদেশি গণতন্ত্রগুলোর রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করছেন। এটি আবার যুক্তরাষ্ট্রের ভেতরের বড় কিছু স্বার্থ, বিশেষ করে প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর ডিরেগুলেশনের (কোনো ব্যবসা, শিল্প বা খাতে সরকার যে নিয়মকানুন বা নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে রেখেছিল, তা কমিয়ে দেওয়া বা পুরোপুরি তুলে ফেলা) ইচ্ছাকে এগিয়ে নিতে সাহায্য করছে।