বই পেতে বিলম্ব, দুর্যোগ, রাজনৈতিক অস্থিরতায় পড়াশোনার ক্ষতি তো আছেই; আর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই পাবলিক পরীক্ষা কেন্দ্র হয়ে থাকলে সেই ক্ষতি হচ্ছে আরও দীর্ঘায়িত।
দেশের কয়েক হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই ক্ষতি সাধারণ প্রবণতা হয়ে দাঁড়ালেও তা উতরানোর কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেই।
গত এপ্রিলে অনুষ্ঠিত এবারের এসএসসি পরীক্ষায় কেন্দ্র ছিল ৩,৭০৬টি। আর চলমান এইচএসসি পরীক্ষা হচ্ছে ২ হাজার ৭৯৭টি কেন্দ্রে। স্কুল-কলেজকে কেন্দ্র বানিয়ে এসব পাবলিক পরীক্ষা যখন চলে, একই সময়ে বাকি স্কুল-কলেজে চলে স্বাভাবিক পাঠদান।
ফলে এই দুই ধরনের প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ফারাক তৈরি হচ্ছে। কেন্দ্র হওয়া প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট-কোচিং নির্ভরতা অনেক বেশি।
রাজধানীর আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী রিদিমা তাবাসসুম সারিকা। তার মা সালমা আক্তার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমার মেয়ের স্কুলে পরীক্ষার চলেছে। ফলে পরীক্ষার দিন ওদের সংক্ষিপ্তভাবে ক্লাস নেওয়া হয়েছে। অন্যান্য দিনে ক্লাস চলেছে পুরো। অন্যদিকে যেসব স্কুলে পরীক্ষার সিট পড়েনি, সেসব স্কুল পুরোদমে ক্লাস চলছে।
“চলতি বছর বই পেতে অনেকটাই দেরি হয়েছে, ফলে বাচ্চারা বেশিরভাগই পিছিয়ে আছে। এমন পরিস্থিতিতে এসএসসি পরীক্ষার সময় যেসব বাচ্চাদের অর্ধেক ক্লাস চলছে তারা পিছিয়ে পড়ছে, যাদের পুরোদমে ক্লাস চলছে তাদের থেকে।”