কে কেমন তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায়

বিডি নিউজ ২৪ প্রকাশিত: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৯:০৭

আদালতের রায়ের পর নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরার রাস্তা তৈরি হয়েই আছে। রাজনৈতিক দলগুলোরও এ বিষয়ে দ্বিমত নেই, তবে সেই সরকার কেমন হবে, তা নিয়ে আছে মতপার্থক্য।


রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্য নিয়ে গঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনও নির্বাচনকালীন অন্তর্বর্তী সরকারের রূপরেখা নিয়ে আলোচনা শুরু করেছে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় ধাপের দশম দিনের আলোচনা হয়েছে সোমবার।


সংস্কার কমিশনগুলোর দেওয়া সুপারিশের ভিত্তিতে গত মার্চ থেকে শুরু হওয়া এ আলোচনার প্রথম ধাপে বেশ কিছু বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে চলছে মৌলিক বিষয়গুলোর আলোচনা। জুলাইয়ের মধ্যে ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা শেষ করে জাতীয় সনদ দেওয়ার কথা রয়েছে।


জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি আলী রীয়াজ গত ২ জুলাই দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় ধাপের অষ্টম দিনের আলোচনা শেষে বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার ব্যাপারে কোনো দ্বিমত নেই। তবে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের গঠন, কাঠামোগত বিষয় ও সময়সীমা নিয়ে আলোচনা চলছে।


সংবিধান সংস্কার কমিশন ১৫ সদস্যের ‘অন্তর্বর্তী সরকারের’ সুপারিশ করেছে, যার মেয়াদ হবে ৯০ দিন। প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগের পদ্ধতিও তুলে ধরা হয়েছে কমিশনের প্রতিবেদনে।


নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন ২০ সদস্যের তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থার সুপারিশ করেছে, যার মেয়াদ হবে চার মাস।



এক যুগ আগে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে সংবিধানের যে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলোপ করা হয়েছিল, গত ১৭ ডিসেম্বর তার কিছু অংশ বাতিল ঘোষণা করে হাই কোর্ট। তাতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরার পথ খোলে।


রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেছে, পঞ্চদশ সংশোধনী আইন পুরোটা বাতিল করা হচ্ছে না। বাকি বিধানগুলোর বিষয়ে আগামী জাতীয় সংসদ আইন অনুসারে জনগণের মতামত নিয়ে সংশোধন, পরিমার্জন ও পরিবর্তন করতে পারবে।


রায়ের পর অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছিলেন, এ রায়ের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিল করে যে সংশোধনী আনা হয়েছিল, তা বাতিল করা হয়েছে। তার অর্থ হলো সেই ব্যবস্থা পুর্বহাল হল।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও