ভয়াবহ সংকটে ছয় বিশেষায়িত ব্যাংক

যুগান্তর প্রকাশিত: ০৬ জুলাই ২০২৫, ০৯:১৯

ভয়াবহ সংকটে পড়েছে দেশের ছয়টি বিশেষায়িত ব্যাংক। অস্বাভাবিকভাবে খেলাপি ঋণ এবং মূলধন ঘাটতি বেড়ে যাওয়ায় মূলত এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটির ঘাটতির অঙ্ক ঋণাত্মক পর্যায়ে পৌঁছেছে। শুধু তাই নয়, ঋণ বিতরণের অনেক ক্ষেত্রে উপেক্ষিত হয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দিকনির্দেশনা। তবে অর্থ আদায়ে খেলাপিদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করলেও তা আটকে যাচ্ছে রিটের কারণে। সবমিলিয়ে গভীর উদ্বেগ, হতাশা ও অসন্তোষ প্রকাশ করেছে স্বয়ং সরকারের সংশ্লিষ্টরা।


সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সঙ্গে বিশেষায়িত ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের (এমডি) বৈঠকে উঠে এসেছে এসব তথ্য। ব্যাংকগুলো হচ্ছে-বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, কর্মসংস্থান ব্যাংক, আনসার ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংক, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক, বিএইচবিএফসি ব্যাংক ও পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক।


ওই বৈঠকে পরিস্থিতি উত্তরণে খেলাপিদের তালিকা প্রস্তুতসহ শ্রেণিকৃত ঋণ কমিয়ে আনতে নতুন কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ পরিকল্পনায় খেলাপিদের এবং অবলোপনকৃত খাত থেকে অর্থ আদায়সহ মূলধন ঘাটতি কমিয়ে আনার কথা বলা হয়। এছাড়া কর্ম-পরিকল্পনা বাস্তবায়ন প্রতিবেদন প্রতি তিন মাস অন্তর অর্থ বিভাগে দাখিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ব্যাংক এমডিদের।


বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর অবস্থা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (অর্থ মন্ত্রণালয়) ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী যুগান্তরকে জানান, ব্যাংকের ফাংশনগুলো ঠিকমতো কাজ না করার কারণে এমন অবস্থা হয়েছে। ব্যাংকগুলো তাদের লক্ষ্য অনুযায়ী বিগত সময়ে কাজ করেনি। তবে ব্যাংকের বিষয়টি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর দেখেন। বিশেষায়িত ব্যাংকের পরিস্থিতি সম্পর্কে গভর্নরকে অবহিত করা হবে বলে তিনি জানান।


এদিকে অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর ব্যাংক খাতের বিপর্যয়ের চিত্র উঠে আসে। যা এতদিন গোপন রাখা হয়েছিল। ব্যাংক খাতে ঋণের নামে লুটপাট, খেলাপি ঋণ অস্বাভাবিক বৃদ্ধি, আমানতের টাকা বিদেশে পাচারের মাধ্যমে সরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো প্রায় শূন্য করে দিয়েছে দুর্নীতিবাজ কতিপয় ব্যবসায়ী। যারা দীর্ঘদিন বিগত সরকারের আশ্রয়ে প্রভাবশালী হিসাবে খ্যাত ছিলেন। এর পাশাপাশি বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর দুরবস্থার চিত্র উঠে আসে অর্থ বিভাগের পর্যালোচনায়।


সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও