আন্দোলনের একপর্যায়ে আমরা ‘ডু অর ডাই’ পরিস্থিতিতে চলে যাই: নাহিদ ইসলাম

বিএসএস নিউজ প্রকাশিত: ০১ জুলাই ২০২৫, ০৯:২৮

২০২৪ সালে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে গড়ে ওঠা শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেন নাহিদ ইসলাম। তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের কঠোর নজরদারি, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হওয়া সত্ত্বেও বৈষম্যমুক্তির আন্দোলন চালিয়ে যেতে অবিচল ছিলেন তিনি। 


নাহিদ ইসলাম বলেন, আন্দোলনের এক পর্যায়ে আমরা এমন সিদ্ধান্ত নিই যে, হয় আমরা বেঁচে থাকবো, না হয় মরে যাবো। বেঁচে থাকলে আমরা এই সরকারকে উৎখাত করবো, আর নইলে আমাদের মৃত্যু হবে। আমরা এই ‘ডু অর ডাই’ পরিস্থিতির মধ্যে চলে গিয়েছিলাম।


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নাহিদ ইসলাম কোটা সংস্কার আন্দোলনের মুখ্য সমন্বয়ক থেকে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের পতন আন্দোলনে মুখপাত্রের ভূমিকা পালন করেন। 


গত বছরের ৩ আগস্ট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শেখ হাসিনার পতনের জন্য এক দফা ঘোষণা করেন তিনি। সময়টি তার জন্য মোটেও সহজ ছিল না। গুম, নির্যাতন, নজরদারি, হুমকি আর চোখের সামনে হাজারো মানুষের মৃত্যু অন্যদিকে স্বৈরাচারী সরকার থেকে মানুষের মুক্তি- এই দুইয়ের মধ্যে তাকে মানুষের মুক্তির জন্য আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার পথটিই বেছে নিতে হয়েছিল। একদফা ঘোষণার পর মাত্র দুইদিনও টিকতে পারেনি ক্ষমতাধর স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকার। ৩৬ দিনের আন্দোলনের ফলে এদেশের মানুষ স্বৈরাচারমুক্ত বাংলাদেশ পায়।


‘১৫ তারিখ আমাদের বোনেরা যেভাবে আহত হয়েছে তা ছিল ভয়াবহ। ১৬ তারিখ আবু সাঈদ শহীদ হলো। তার মৃত্যুর খবর আমি শহীদ মিনারে প্রথম ঘোষণা দিয়ে বলি, আমাদের এক ভাই শহীদ হয়েছে। এর আগের দিন আবু সাঈদের সাথে বাকেরের কথা হয়। বাকেরের কাছে আবু সাঈদ জানতে চায় পরদিনের পরিকল্পনা কী? বাকের জানায়, আমরা মাঠে থাকবো যে কোনো মূল্যে। আবু সাঈদ জীবন দিয়ে তার অটল সংকল্প প্রমাণ করছে- সে মাঠ ছাড়েনি, দাঁড়িয়ে ছিল বুলেটের সামনে। ওই ঘটনা আমাদের ব্যাপকভাবে অনুপ্রাণিত করে, আলোড়িত করে।’



‘এই সময়টাতেই আমরা অনেকে ভেঙে পড়েছিলাম। একই সাথে আবার ক্ষুব্ধও হই। ক্ষুব্ধতার মাত্রা অনেক বেড়ে যায় এবং এই লড়াই যে একটা চূড়ান্ত লড়াইয়ের দিকে যাবে, এই একটা বোধ আমাদের ভেতরে ১৬ই জুলাই তৈরি হয়ে যায়। তখন আমরা শুনতে পেলাম রাত পর্যন্ত ছয়জন মারা গেছে। সেই রাতে আমি একটা ভিডিও বার্তা দিই। তখনই আমরা বুঝতে পারি যে এই আন্দোলন আর কেবল কোটা সংস্কারের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না। এটা এখন আর কোটা সংস্কারের আন্দোলনে নেই। যদিও কোটা সংস্কার প্রসঙ্গ থাকতেই পারে, তবুও এ আন্দোলনে যে ক্ষতি হয়ে গেছে, তার ক্ষতিপূরণ অন্য কোনোভাবেই সম্ভব নয়। এখন আমাদেরকে সরকারের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক অবস্থানের দিকে অগ্রসর হতে হবে। আমরা তো ১৬ জুলাই শহীদ মিনারে ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণ করেছি এবং ১৭ জুলাই গায়েবানা জানাজা ছিল। আন্দোলনটাও তখন আরেক দিকে মোড় নেওয়ার পথে ছিল।’

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও