
সিনেমা শিল্পের ভবিষ্যৎ কি এআইয়ের হাতে? সম্ভাবনা ও শঙ্কা
সিনেমা মানেই ছিল বিশাল সেট, ব্যয়বহুল প্রোডাকশন আর দীর্ঘ সময়ের পরিকল্পনা। কিন্তু কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি সেই ধারণায় এক নতুন বিপ্লব এনেছে। এখন ঘরে বসেই একটি কম্পিউটার, ইন্টারনেট সংযোগ ও কিছু এআই টুলের সাহায্যে বানানো যাচ্ছে শর্ট ফিল্ম, বিজ্ঞাপন এমনকি পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমাও।
এআই দিয়ে নির্মিত এসব ভিডিওতে চরিত্র, কণ্ঠস্বর, আবহসংগীত এমনকি আবেগপ্রকাশও সম্ভব হচ্ছে নিখুঁতভাবে। বাস্তব-অবাস্তবের সীমারেখা যেন মিলিয়ে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভারত, চীন থেকে ইউরোপ এআই-নির্ভর কনটেন্ট এখন অনলাইনের দুনিয়ায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।
সম্প্রতি আলোচনায় এসেছে ওপেন এআইয়ের ‘সোরা’ টুল দিয়ে নির্মিত ‘দ্য ফ্রস্ট’, যেখানে তুষারঢাকা কাল্পনিক গ্রহে সম্পূর্ণ এআই-নির্মিত চরিত্র ও পরিবেশে গড়ে উঠেছে গল্প। এনবিএ ফাইনালে প্রচারিত মাত্র ২ হাজার ডলারে নির্মিত একটি এআই বিজ্ঞাপন ইতোমধ্যেই দেখেছে দুই কোটির বেশি দর্শক।
অন্যদিকে, পিকা ল্যাবস প্ল্যাটফর্মে তৈরি ‘ব্লিঙ্ক টেস্ট’ এআইয়ের আবেগ ও নান্দনিকতার প্রশ্ন সামনে এনেছে। ভারতে এআই শর্টস প্ল্যাটফর্মে প্রকাশিত ‘এথিকস অব এআই’ সিনেমাটি প্রযুক্তি ও নৈতিকতার দ্বন্দ্ব ঘিরে ভাবনার জন্ম দিয়েছে।
এআই প্রযুক্তির মূল আকর্ষণ হলো অল্প খরচ, কম সময় ও সর্বজনগ্রাহ্যতা। কোনো লোকেশন, ক্যামেরা বা অভিনেতা ছাড়াই স্ক্রিপ্ট লিখে ভিডিও তৈরি করা যাচ্ছে। রানওয়ে এমএল, পিকা ল্যাবস, সিনথেসিয়া, ইলেভেন ল্যাবস ও অ্যাডোবি ফায়ারফ্লাইয়ের মতো টুলগুলো ব্যবহার করে ভিডিও তৈরি, ভয়েসওভার, চরিত্র নকশা, এমনকি আলোর ব্যবস্থাপনাও করা সম্ভব।
- ট্যাগ:
- বিনোদন
- সিনেমা নির্মাণ
- এআই টুল