
নজিরবিহীন লগ্নে বিশ্ব, সেটাও ছাপিয়ে যেতে পারে
যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান গত কয়েক দশক ধরে সচেতনভাবেই সরাসরি সামরিক লড়াই থেকে বিরত থেকেছে।
মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে বিপজ্জনক যুদ্ধের চোরাবালিতে যুক্তরাষ্ট্র ডুবে যেতে পারে–এই ভয়ে একের পর এক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইরানে নিজেদের সামরিক শক্তি জাহির করা থেকে বিরত রেখেছেন।
কিন্তু নিজেকে ‘শান্তির প্রেসিডেন্ট’ দাবি করা ডনাল্ড ট্রাম্প ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালিয়ে সেই বিপজ্জনক যুদ্ধের পথেই পা বাড়ালেন।
বিবিসির এক বিশ্লেষণী প্রতিবেদন বলছে, ইরানে মার্কিন হামলা ছিল একটি নজিরবিহীন মুহূর্ত, যা পুরো বিশ্বে একটা সতর্ক ঘণ্টা বাজিয়ে দিয়েছে।
তবে ইরানের পরবর্তী পদক্ষেপ সেই অকল্পনীয় লগ্নকেও ছাপিয়ে যেতে পারে। দেশটির ৮৬ বছর বয়সী সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি তার দেশকে রক্ষায় প্রায় চার দশক ধরে খুব সাবধানের সঙ্গেই সবচেয়ে শক্তিশালী শত্রুর বিরুদ্ধে লড়ে আসছেন।
কোনো কোনো বিশ্লেষক মনে করেন, এখন যদি তিনি শত্রুকে ‘নরম’ জবাব দেন, তাহলে ভাবমূর্তি হারাবেন; আবার যদি ‘বেশি কিছু’ করে ফেলেন, তাহলে সবই হারাতে পারেন।