
মেয়াদ-বার বিতর্কে না থেকে সর্বোচ্চ কত বছর প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন সেটা প্রস্তাব করেছি: সালাহউদ্দিন
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘মেয়াদ এবং বার—এই বিতর্কে না থেকে এক ব্যক্তি লাইফ টাইমে সর্বোচ্চ কত বছর প্রধানমন্ত্রী পদে থাকতে পারবেন, আমি সেই প্রস্তাব করেছি।’
আজ রোববার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের পঞ্চম দিনের মুলতবি শেষে এসব কথা বলেন সালাহউদ্দিন আহমদ।
সালেহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আমরা লিখিত প্রস্তাবে এবং আমাদের ৩১ দফার লিখিত প্রস্তাবের মধ্যে যা ছিল, সেটা পুনরায় উল্লেখ করেছি। কোনো ব্যক্তি পরপর দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী পদে থাকতে পারবেন না। এখানে মেয়াদটা নিয়ে সব সময় বিভিন্ন ধরনের ব্যাখ্যা এসেছে। কারও কারও প্রস্তাবের মধ্যে দুবার এসেছে। বারের ক্ষেত্রে ব্যাখ্যা হচ্ছে, যদি কোনো ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রীর ক্ষেত্রে একবারের জন্য মনে করেন, তিন মাসের জন্য অন্য কেউ হলেন। মেজরিটি পার্টি আরেকজনকে প্রধানমন্ত্রী করলেন। তারপর হয়তো আগেরজন প্রধানমন্ত্রী হলেন। তাহলে তো তার আর দুবার পূরণ হয়ে যায়নি। এই দুবার, তিনবার বা পাঁচবারও এক বছরের ভেতরে কেউ প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না। বার নিয়ে ব্যাখ্যাটা সংগত কারণে যথেষ্ট নয়।’
তিনি বলেন, ‘মেয়াদের ক্ষেত্রে আমরা যে বিষয়টা মাথায় রেখে কথা বলেছিলাম সেটা হচ্ছে, সাধারণত সংসদের মেয়াদ পাঁচ বছর। পাঁচ বছর সংসদ বহাল থাকবে কি না, সেটা সংসদের ওপর নির্ভর করবে। আমাদের সংবিধানের উল্লেখ আছে যে সংসদ পাঁচ বছরে হবে।’
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘তিনবারেই হোক, চার মেয়াদেই হোক, সর্বোচ্চ বছরটা যদি আমরা উল্লেখ করতে পারি, মানে একজন লোক জীবদ্দশায় এত বছর প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন।’ তবে তিনি নিজে নির্দিষ্ট কোনো বছর উল্লেখ করেননি। কারণ, তাঁর দলের পক্ষ থেকে এককভাবে সেটি সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা তাঁর নেই। তিনি বলেন, ‘এটা ডিসাইড করার ক্ষমতা এককভাবে আমার দলের পক্ষ থেকে আমার নেই। যদি একটা মেয়াদ হাউস ডিসাইড করে, তাহলে আমাকে আমার দলীয় ফোরামে আলোচনা করতে হবে।’