আইমানের বুক ছিদ্র করে গুলি বিদ্ধ হয় ফুফু নাছিমার গায়ে

ঢাকা পোষ্ট প্রকাশিত: ২০ জুন ২০২৫, ১৪:০৫

২০২৪ সালের ১৯ জুলাই। ঢাকার আকাশে তখন হেলিকপ্টারের গর্জন, মাটিতে ছাত্র-জনতার গগনবিদারী স্লোগান আর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টিয়ারশেল ও গুলির শব্দ। সেই দিন রাজধানীর সায়েন্সল্যাব মোড়ে হেলিকপ্টার থেকে গুলি ছোঁড়ার ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন নোয়াখালীর তরুণী নাছিমা আক্তার (২৪)। আর বুক ছিদ্র হয়ে গুরুতর আহত হন তার ভাতিজা, ঢাকা সিটি কলেজের শিক্ষার্থী আইমান উদ্দিন (২০)। এক বছর হতে চললেও এখনও সেই দিনের কথা ভুলতে পারেনি আইমান।


আইমান উদ্দিন নোয়াখালী পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড মাইজদী বাজার এলাকার স্পেন প্রবাসী হেলাল উদ্দিন সোলায়মানের বড় ছেলে। সে গেল বছর ঢাকা সিটি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেছেন। অন্যদিকে নিহত নাছিমা আক্তার স্পেন প্রবাসী হেলাল উদ্দিনের ছোট বোন। কিছুদিনের জন্য বেড়াতে ঢাকায় গিয়েছিলেন নাছিমা। মৃত্যুর আগে তার বিয়ের আলাপ চলছিল। কিন্তু মেহেদী রাঙানোর সৌভাগ্য আর হয়নি নাছিমার। 


জানা গেছে, ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই রাজধানীর সায়েন্সল্যাব মোড় ও আশপাশের এলাকাজুড়ে কোটা সংস্কার আন্দোলন চলছিল। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত থেমে থেমে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, টিয়ারশেল, রাবার বুলেট ও সরাসরি গুলির ঘটনা ঘটে। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডি ১ নম্বর রোডের একটি ভবনের ছাদে উঠেছিলেন নাছিমা আক্তার, তার ভাতিজা আইমান উদ্দিন ও সায়মন উদ্দিন। তখন হঠাৎ করে একটি হেলিকপ্টার থেকে ছোড়া গুলি তাদের গায়ে বিদ্ধ হয়।


সেই গুলিটি প্রথমে আইমানের বুকের ডান পাশে ঢুকে, শরীর ভেদ করে পেছনে থাকা ফুফু নাছিমার গলায় ঢুকে যায়। ঘটনাস্থলেই তারা দুজন রক্তাক্ত হয়ে পড়লে, স্থানীয়রা দ্রুত তাদের রাজধানীর পপুলার হাসপাতালে নিয়ে যান।


নাছিমা আক্তারকে নিয়ে যাওয়া হয় আইসিইউতে, যেখানে এক রাত মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে পরদিন বিকেলে তিনি শহীদ হন। মৃত্যুর আগেই তার বিয়ে ঠিক হয়েছিল। কিন্তু জীবনে আর সেই মেহেদীর রঙ দেখা হয়নি নাছিমার। অন্যদিকে আইমান ছিলেন ১৫ দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পরে ৫ আগস্ট ছাড়পত্র পেয়ে বাসায় ফেরেন, তবে তার বুকে এখনো গুলির ক্ষত ও মানসিক ট্রমা রয়ে গেছে।


সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও