কর্মচারীদের আনুগত্য দিয়ে কি জনসেবা নিশ্চিত হবে

প্রথম আলো কল্লোল মোস্তফা প্রকাশিত: ২০ জুন ২০২৫, ১২:৪৫

অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনের চতুর্থ অধ্যায়ে জনপ্রশাসনের কর্মচারীদের আচরণগত ও দৃষ্টিভঙ্গির সংস্কার বিষয়ে বিভিন্ন সুপারিশ করা হয়েছে। কমিশন মনে করে, সরকারের নীতিগত লক্ষ্য অর্জনে সহায়তার পাশাপাশি গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ রক্ষায় সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে কতগুলো পেশাগত মৌলিক মূল্যবোধ নিশ্চিত করা দরকার।


কমিশন এ লক্ষ্যে একটি সিভিল সার্ভিস কোড প্রণয়নের সুপারিশ করেছে, যেখানে এই মৌলিক মূল্যবোধগুলো অন্তর্ভুক্ত থাকবে। সুপারিশে উল্লেখিত মূল্যবোধগুলো হলো: জনগণকেন্দ্রিকতা, জবাবদিহি, স্বচ্ছতা, সততা, নেতৃত্ব ও উদ্ভাবন, সমতা, পেশাদারত্ব। 


অন্তর্বর্তী সরকার এই সুপারিশ অনুযায়ী সিভিল সার্ভিস কোড প্রণয়ন করছে কি না, তা স্পষ্ট নয়। তবে সম্প্রতি সরকার সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ সংশোধন করে সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ জারি করেছে, যেখানে সরকারি কর্মচারীদের আনুগত্য নিশ্চিত করার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।


এই সংশোধনী সংস্কার কমিশনের মূল দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ, সে বিষয়ে প্রশ্ন আছে। কারণ, কমিশন যেখানে জবাবদিহি ও স্বচ্ছতাকে গুরুত্ব দিয়েছে, সেখানে নতুন অধ্যাদেশে একটি অস্পষ্ট ও সংজ্ঞাহীন ধারণা—‘অনানুগত্য’কে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে। 



অধ্যাদেশের সরকারি কর্মচারীদের আচরণ ও দণ্ড–সংক্রান্ত বিশেষ বিধানে বলা হয়েছে, কোনো সরকারি কর্মচারী যদি এমন কোনো কাজে লিপ্ত হন, যা অনানুগত্যের শামিল বা যা অন্য কোনো কর্মচারীদের মধ্যে অনানুগত্য সৃষ্টি করে বা শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করে বা কাজে বাধা তৈরি করে, তাহলে সেটি হবে একটি অসদাচরণ।


এমন অপরাধের জন্য পদ বা বেতন গ্রেড অবনমিতকরণ, চাকরি হতে অপসারণ, এমনকি চাকরি থেকে বরখাস্ত করা যাবে। সরকারি কর্মচারীরা আশঙ্কা করছেন, অধ্যাদেশটির কারণে সরকারি কর্মচারীরা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার অন্যায় আদেশও মানতে বাধ্য হবেন। আবার তা না মানলে চাকরি হারানোর ঝুঁকিতে পড়বেন। এই অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে তাঁরা আন্দোলনে নেমেছেন। সম্প্রতি আন্দোলনের মুখে সরকার অধ্যাদেশটি পর্যালোচনার জন্য উচ্চপর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করেছে।


অথচ সরকারি চাকরিজীবীরা যদি সরকারের আদেশ অমান্য করে বা দুর্নীতি করে বা কাজে অবহেলা করে, তাহলে বিদ্যমান আইন ও বিধিমালা অনুসারেই শাস্তি দেওয়া সম্ভব। এখানে সমস্যা হলো এসব আইন ও বিধিমালার যথাযথ প্রয়োগ ও ধীরগতি নিয়ে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও