
গুম কমিশনের প্রতিবেদন: ‘জোর করে’ জবানবন্দি, ‘জড়িত’ ছিলেন ম্যাজিস্ট্রেটরাও
ঊনিশ বছর বয়সী এক যুবক র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) হাতে ‘অপহরণের শিকার’ হয়ে গুম ছিলেন ২৮ দিন। ব্যাপক নির্যাতনের পর কর্মকর্তারাই তৈরি করে দেন একটি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি।
এরপর চাপ দিয়ে সেই জবানবন্দি তাকে মুখস্ত করানো হয়, বারবার মহড়ার পর নেওয়া হয় ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে। বিচারকের খাসকামরায় ভুক্তভোগী আবেদন জানান, পুলিশকে বের করে দিয়ে যেন নিয়মমাফিক জবানবন্দি নেওয়া হয়।
বিচারকের কাছে সেই আবেদন অগ্রাহ্য হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ‘জোর করে নেওয়া’ জবানবন্দিই রেকর্ড হয়।
গুমের শিকার হওয়া ওই ভুক্তভোগীর বর্ণনায় এভাবে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি আদায়ে বিচারকের ‘আইন না মানার’ কথা তুলে ধরেছে গুম বিষয়ক তদন্ত কমিশন।
বিচার শুরুর আগে প্রথম শ্রেণির একজন ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে কোনো আসামি স্বীকারোক্তিমূলক যে জবানবন্দি দেন, তা ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় লিপিবদ্ধ করেন প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট।
১৬৪ ধারায় একটি অংশে বলা হয়েছে, “কারও এ ধরনের স্বীকারোক্তি নেওয়ার আগে ম্যাজিস্ট্রেট ওই ব্যক্তির কাছে ব্যাখ্যা করবেন যে, তিনি এই স্বীকারোক্তি দিতে বাধ্য নন এবং তিনি যদি স্বীকারোক্তি দিয়ে দেন এটা তার নিজের বিরুদ্ধেও ব্যবহার হতে পারে।
- ট্যাগ:
- বাংলাদেশ
- গুম
- ম্যাজিস্ট্রেট
- জবানবন্দি