
মাংসের দোকানে ক্রেতা নেই, মাছ-ডিমে স্বস্তি খুঁজছে মানুষ
ঈদুল আজহার পর রাজধানীর বাজারে মাংসের বেচাকেনা অনেকটাই থমকে গেছে। বাজারে গরু-খাসির মাংস পাওয়া গেলেও ক্রেতার দেখা নেই। তবে কিছুটা কমেছে মাছ-মুরগির দাম। ফলে ঈদের পরে মাছ, মুরগি ও ডিমের বাজারে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছেন নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষ।
একদিকে ঈদে কোরবানির কারণে অনেক পরিবার এখনো রান্না করছেন কোরবানির মাংস। অন্যদিকে যারা কোরবানি দেননি, তাদের বড় একটি অংশ গরু বা খাসির মাংস কিনতে গিয়ে অতিরিক্ত দামের কারণে ফিরে আসছেন দোকান থেকে। তবে তুলনামূলক সস্তা মাছ, ব্রয়লার মুরগি ও ডিম স্বস্তির জায়গা হয়ে উঠেছে সাধারণ মানুষের কাছে।
শুক্রবার (১৩ জুন) সকালে রাজধানীর বনশ্রী, রামপুরা এবং মালিবাগ এলাকার একাধিক বাজার ঘুরে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঈদ-পরবর্তী বাজারে মাংসের দাম সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে থাকায় মাছ, মুরগি ও ডিমের বাজারে ফিরেছে স্বাভাবিক গতি। সাশ্রয়ী মূল্য, স্বস্তি এবং চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য থাকায় এই তিনটি পণ্যই হয়ে উঠেছে শহরের মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তদের ভরসার জায়গা। বাজারে সরবরাহ ও চাহিদার ভারসাম্য থাকলে আগামী কয়েকদিনে মূল্য আরও স্থিতিশীল হবে বলেই মনে করছেন বিক্রেতারা।
মুরগি-ডিমেই চলছে অনেক পরিবার
রাজধানীর মালিবাগ বাজারে দেখা গেছে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায়। সোনালি মুরগি ২২০ থেকে ২৩০ টাকা, লাল লেয়ার ২০০ থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি মুরগি এখনও কেজি ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা।
রাবেয়া খাতুন পেশায় একজন স্কুলশিক্ষিকা। তিনি বলেন, ঈদের পর পরিবারে আর কেউই মাংস খেতে চাচ্ছে না। গরু-খাসির মাংসে যেন অনেকটা বিতৃষ্ণা চলে এসেছে। তাই সোনালি ও ব্রয়লার মুরগি কিনেছি। মুরগির দামটা আমার কাছে অন্যান্য সময়ের তুলনায় বেশ কমই মনে হয়েছে। মোটামুটি সস্তা হওয়ায় এখন মুরগির মাংস সবাই খেতে পারে।