You have reached your daily news limit

Please log in to continue


আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে, গণতন্ত্রের পথে হাঁটব কিনা

‘নির্বাচন’ শব্দটি আমাদের গণতান্ত্রিক চর্চার কেন্দ্রবিন্দু হলেও, বর্তমান বাংলাদেশে এটি যেন এক বিভাজনরেখা, যা রাজনৈতিক দলগুলোকে এক টেবিলে নয়, বরং বিপরীত মেরুতে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। ঈদের আগের দিন সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তৃতায় নির্বাচনের একটি সময়রেখা পেলেও রাজনৈতিক সংকট কমার কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। আস্থা-বিশ্বাসের সংকট, অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ এবং গুজব-অপতথ্যের বিস্তার নির্বাচন তথা রাজনৈতিক প্রক্রিয়াকে আরও ঘোলাটে করে তুলছে বলে মনে হওয়ার কারণ দেখা যাচ্ছে।

জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা আগামী এপ্রিলের প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের সম্ভাবনার কথা বললেন। সেটি একদিকে নির্ধারিত সময়সীমার স্বস্তি দিলেও, অন্যদিকে এক বড় রাজনৈতিক দল—বিএনপি ও তার শরিকদের কাছে তা অগ্রহণযোগ্য বলেই প্রতীয়মান হলো। তাদের যুক্তি—ঈদ, গ্রীষ্মকাল, রমজান, তাপদাহ—সব মিলিয়ে এপ্রিল নির্বাচনের উপযুক্ত সময় নয়।

সরকার বলছে, তারা সংস্কার, বিচার এবং নির্বাচন—এই তিনটি ‘ম্যান্ডেট’ নিয়ে এসেছে। বিএনপি বলছে, এই সরকার একটি নির্দলীয়-নিরপেক্ষ ব্যবস্থার প্রতীক হয়ে উঠতে ব্যর্থ হচ্ছে এবং একটি দল বা গোষ্ঠীর প্রতি পক্ষপাতিত্ব করছে।

এখানে দ্বন্দ্বটা সময়ের নয়, আস্থার। প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণাকে জামায়াতসহ কিছু ইসলামপন্থী দল স্বাগত জানালেও, বিএনপিসহ আরও কিছু দল সরকারের অভিপ্রায়কে প্রশ্নবিদ্ধ বলেই মনে করছে। নবগঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) যে শর্তসাপেক্ষ প্রতিক্রিয়া দিয়েছে, তা প্রশ্নটিকে আরও গভীর করেছে।

এই অবিশ্বাস কেবল নির্বাচনকাল নির্ধারণে নয়, বরং রাজনৈতিক সংস্কৃতি গঠনে সরকারের আন্তরিকতা ও অংশগ্রহণমূলক প্রক্রিয়া নিয়েও প্রশ্ন তোলে।

প্রধান উপদেষ্টা তার ভাষণে ‘জুলাই সনদ’ নামে এক নতুন দিকনির্দেশনার কথা বলেছেন, যার মাধ্যমে নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতির পথ রচিত হবে বলে তার প্রত্যাশা। কিন্তু এই সনদে কারা থাকবে? সেই পথে চলতে হবে যাদের, তারা কি এতে আস্থাবান? শুধু ঘোষণায় নয়, এর বাস্তব কাঠামো, স্বচ্ছতা এবং রাজনৈতিক দলের সম্পৃক্ততা নিয়েও প্রশ্ন রয়ে যাচ্ছে।

জাতীয় ঐকমত্য কথাটাই এখন বিভ্রান্তিকর হয়ে উঠেছে। কারণ যারা এর পক্ষেই ছিল, তারাই এখন এর প্রণয়ন পদ্ধতি ও উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দিহান। আবার যাদের বরাবরই দ্বিমত ছিল, তারা এখন একে নিজেদের মতাদর্শের বিজয় হিসেবে তুলে ধরছে।

ড. ইউনূস তার ভাষণে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের জন্য করিডোর এবং বিদেশিদের চট্টগ্রাম বন্দর পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়ার ব্যাপারে কিছু বক্তব্য দিয়েছেন, যা রাজনৈতিক মহলে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। গুজব ছড়ানোর দায় রাজনৈতিক দলের ওপরে চাপানো হলেও, সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন নিজেই মানবিক করিডোরের কথা প্রথম সাংবাদিকদের বলেছিলেন।

রাজনীতিতে গুজব তখনই বিস্তার লাভ করে, যখন সিদ্ধান্ত গ্রহণে স্বচ্ছতা থাকে না, পক্ষপাতের আশঙ্কা থাকে এবং আলোচনা অনুপস্থিত থাকে। সরকার যাকে ‘চিলে কান নিয়েছে’ বলে হেসে উড়িয়ে দেয়, মানুষ সেটাকেই বাস্তব ধরে নেয় কারণ তাদের কাছে তথ্য নেই, ব্যাখ্যা নেই।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে আদালত কর্তৃক নির্বাচিত ঘোষিত ইশরাক হোসেনের ‘বিপ্লবী কাউন্সিল’ গঠনের ঘোষণা যেমন প্রতীকী এক চ্যালেঞ্জ, তেমনি তা রাষ্ট্রের শাসন কাঠামো ও ব্যর্থ যোগাযোগ ব্যবস্থার এক নগ্ন উদাহরণ। এই অচলাবস্থা কেবল একটি সিটি করপোরেশনের সেবা ব্যাহত করছে না, বরং জনগণের মনে একটি আতঙ্ক সৃষ্টি করছে— আমরা কি একটি ‘দ্বৈত শাসন’ পরিস্থিতির দিকে এগোচ্ছি?

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন